হ্যামস্ট্রিং চোটের কারণে গত সপ্তাহ থেকে মাঠের বাইরেই আছেন নেইমার। সেরে ওঠার প্রক্রিয়ায় নতুন করে ফের আঘাত পেয়েছেন তিনি। সান্তোসের সভাপতি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন যে, নভেম্বরের আগে ব্রাজিলিয়ান তারকার মাঠে ফেরার কোনো সম্ভাবনা নেই।

ক্যারিয়ারে বহুবার মারাত্মক সব চোট পেয়েছেন নেইমার। তার এই দুঃসময়ের মূল পর্ব শুরু মূলত বার্সেলোনা থেকে ২০১৭ সালে ট্রান্সফার ফির বিশ্ব রেকর্ড গড়ে পিএসজিতে যাওয়ার পর। ফরাসি ক্লাবটিতে তিনি বেশ সাফল্য পেলেও, বারবার মৌসুমের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে চোটে তার ছিটকে পড়ায় খুব ভুগতে হয়েছিল দলটিকে।

সেখান থেকে ২০২৩ সালে তিনি পাড়ি জমান সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলালে; কিন্তু সেখানেও চোটের ছোবলে প্রায় পুরোটা সময় মাঠের বাইরেই কাটাতে হয় তাকে। তাই একরকম বাধ্য হয়ে, চুক্তির মেয়াদ শেষের আগেই ‘পারস্পরিক সমঝোতায়’ ক্লাবটি থেকে বিদায় নেন নেইমার এবং এই বছরের শুরুতে যোগ দেন শৈশবের ক্লাব সান্তোসে।

কিন্তু সেখানে গিয়েও ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়নি তার। শরীরও মনমতো সাড়া দিচ্ছে না। তাইতো বারবার পড়ছেন চোটে। অনেক লড়াই করে মাঠে ফিরলেও ছন্দের দেখা মিলছে না, এরপর আবার পড়ছেন নতুন চোটে।

আন্তর্জাতিক ফুটবলে নেইমার সবশেষ খেলেছেন ২০২৩ সালের অক্টোবরে। গত জুনে সেলেসাওদের দায়িত্ব নেওয়া কোচ কার্লো আনচেলত্তি একটা শর্ত জুড়ে দিয়েছেন, জাতীয় দলের হয়ে খেলতে হলে থাকতে হবে ‘ভালো শারীরিক অবস্থায়।’

মূলত এ কারণেই, এই মাসের প্রথম দিকে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের শেষ দুই ম্যাচের দলে ডাক পাননি নেইমার। ওইসময় চোটমুক্ত থাকলেও, কোচের শর্তপূরণের মতো ফিটনেস ছিল না ৩৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডের।

এখন আবার আঘাত হানল নতুন চোট। গণমাধ্যমের খবর, ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের চলতি মৌসুমের শেষ দিকে মাঠে ফেরার আশায় আছেন নেইমার, যদি না আরও কোনো নতুন সমস্যা দেখা দেয়।

মাঠে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের ট্যাকলের চেয়ে প্রতি সপ্তাহে দলের বাইরে থাকাটাই নেইমারের ক্যারিয়ারে এখন সবচেয়ে বড় আঘাত হয়ে উঠেছে। দিনের পর দিনের এই ধাক্কা সামলে তিনি আবার আপন রূপে আলো ছড়াতে পারবেন কি না, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা। সেই অপেক্ষায় আছে পুরো ব্রাজিল।

আগামী বছরের জুন-জুলাইয়ে হবে বিশ্বকাপ।