টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ব্যাটিং ধস এখন যেন নিয়মিত দৃশ্য বাংলাদেশ দলের জন্য। নতুন কম্বিনেশন, নতুন ব্যাটিং অর্ডার—যে পরীক্ষাই চালানো হচ্ছে, সবই ব্যর্থতার গল্প বলছে বারবার। চট্টগ্রামের প্রথম ম্যাচেও তার ব্যতিক্রম হলো না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাধারণ মানের রান তাড়া করতে নেমে উড়ে গেল শুরুর সারির ব্যাটাররা। শেষদিকে কিছুটা লড়াই করলেও জয়ের দেখা মিলল না টাইগার শিবিরে।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সংগ্রহ করে ৩ উইকেটে ১৬৫ রান। অতিথি দলের ইনিংসে শাই হোপ সর্বোচ্চ ৪৬ রানে অপরাজিত থাকেন। পাওয়েল খেলেন ৪৪ রানের কার্যকরী ইনিংস। বাংলাদেশের বোলাররা ম্যাচজুড়ে শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকলেও উইকেট তুলতে পারেননি নিয়মিত ব্যবধানে।

১৬৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। ওপেনারদের ব্যর্থতার পর মিডল অর্ডারও ফিরেছেন রানের খাতা বড় করতে না পেরে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ স্কোরবোর্ড চাপে পড়ে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেননি কেউই। শেষদিকে লোয়ার অর্ডারের ব্যাটারদের ছোট ছোট ইনিংসে হার কমলেও ম্যাচ ফিরে আসেনি বাংলাদেশের হাতে।

শেষ পর্যন্ত ১৯ ওভার ৪ বলে ১৪৯ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। ফলে ১৬ রানের জয় তুলে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০তে এগিয়ে যায়।

টাইগারদের এখন তাকিয়ে থাকতে হবে বাকি ম্যাচগুলোর দিকে। ব্যাটিং ব্যর্থতার এই অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠতে না পারলে সিরিজ পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে উঠবে নিঃসন্দেহে।