ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে একটিও জয় ছিনিয়ে আনতে পারল না বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে হারার পর চট্টগ্রামে তৃতীয় ম্যাচ ছিল কেবল মান রক্ষার লড়াই কিন্তু সেখানেও ব্যর্থ হলো লিটন দাসের দল। ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই পিছিয়ে থেকে ৫ উইকেটের ব্যবধানে পরাজিত হয় টাইগাররা। ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫১ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। দলের হয়ে একাই লড়াই করেন ওপেনার তানজিদ তামিম। তার ব্যাট থেকে আসে ৬২ বলে ৮৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস যা তার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সেরা। তবে তার ইনিংস ছাড়া আর কেউই তেমন অবদান রাখতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩ রান আসে সাইফ হাসানের ব্যাট থেকে।

অন্যদিকে, পারভেজ ইমন (৯), লিটন দাস (৬), নুরুল হাসান (৪) ও জাকের আলিরা ছিলেন সম্পূর্ণ ব্যর্থ। ফলে সম্ভাবনাময় সূচনা সত্ত্বেও বড় সংগ্রহ গড়তে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ দল।

টার্গেট তাড়া করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শুরুতে কিছুটা চাপে পড়েছিল। শেখ মেহেদি ও নাসুম আহমেদের ঘূর্ণিতে ৫২ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট হারায় সফরকারীরা। তবে চতুর্থ উইকেটে রোস্টন চেস ও আকিম অগাস্টে মিলে বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন। দুজনেই তুলে নেন ফিফটি—চেস করেন ৫০, অগাস্টে ২৫ বলে ৫০ রান। তাদের ৯১ রানের জুটিতেই মূলত জয় নিশ্চিত হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের।

শেষ পর্যন্ত ১৬.৫ ওভারে ৫ উইকেট হাতে রেখেই জয় পায় ক্যারিবীয়রা।

এই পরাজয়ের ফলে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ। তবে পুরো সিরিজ জুড়ে উজ্জ্বল ছিলেন কেবল তানজিদ তামিম, যিনি তিন ম্যাচে দুটি ফিফটি করে একাই লড়েছেন দলের হয়ে।