সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জাতীয় লিগের তৃতীয় দিনে দর্শকরা সাক্ষী থাকলেন মুশফিকুর রহিমের ঝকঝকে সেঞ্চুরির। গতকাল দিনের খেলা শেষ করেছিলেন ৯৩ রানে অপরাজিত অবস্থায়। আজ সকালে ব্যাট হাতে নেমেই ১০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।

যদিও সেঞ্চুরি নিজেই বড় ঘটনা, কিন্তু মুশফিকের উদযাপন এদিন আলাদা নজর কেড়েছে। বোলার এনামুল হকের ওভারে বাউন্ডারি হাঁকানোর পর মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে হুঙ্কার ছুঁড়লেন। কয়েক মুহূর্তের জন্য দৃষ্টি স্থির রেখে বোলারদের দিকে তাকিয়ে ছিলেন তিনি। জাতীয় লিগে এই ধরনের খ্যাপাটে উদযাপন নতুন নয়, তবে ঘরের মাঠে এটি আরও বেশি রঙ ছড়িয়েছে।

মুশফিক এই খেলা দিয়ে শুধু সেঞ্চুরি অর্জন করলেন না, বরং আসন্ন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের আগে দারুণ প্রস্তুতির ইঙ্গিতও দিলেন। সব ঠিক থাকলে জাতীয় দলের হয়ে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট খেলার মাইলফলকও স্পর্শ করবেন তিনি।

গতকালের খেলার শেষ মুহূর্তে সিলেট ৭ উইকেটে ২৬০ রান তুলেছিল। মুশফিকরা ৩ উইকেট হাতে রেখে ৫০ রান পিছিয়ে ছিলেন। প্রথম ইনিংসে ঢাকা বিভাগ ৩১০ রান করেছিল। আজ সকালে খেলা শুরু হওয়ার পরই কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হয় সিলেটকে। দিনের দ্বিতীয় ওভারের মধ্যে আউট হয়ে যান এবাদত হোসেন। এক ওভার পর বিদায় নেন খালেদ আহমেদও।

মুশফিক তখনও অপরাজিত ছিলেন ৯৬ রানে। একমাত্র প্রান্তে ছিলেন শেষ ব্যাটার। তবে খুব বেশি সময় নেননি। এনামুল হকের পেসে স্কুপ শট মারতেই বাউন্ডারি, আর সঙ্গে ঝড়ের মতো উদযাপন। গতকালকের বাউন্সারের প্রতিশোধের ছোঁয়া এ উদযাপনে ধরা পড়ে।

শেষ পর্যন্ত মুশফিক ১১৫ রানে আউট হয়ে যান। ৮ চার ও ২ ছক্কায় ২০৫ বল খেলে সিলেটের ইনিংস ২৯০ রানে শেষ হয়। ঢাকার কাছে শেষ পর্যন্ত ২০ রানের লিডই রয়ে যায়।