বছরে এক মাস রমজানের রোজা ফরজ হলেও মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় বিভিন্ন সময়ে নফল রোজা পালন করে থাকেন। এই নফল রোজাগুলোর রয়েছে বিশেষ ফজিলত ও সওয়াব। তবে প্রশ্ন থেকে যায় নফল রোজা রাখার পর হঠাৎ পিরিয়ড শুরু হলে একজন নারীর করণীয় কী?

ইসলামী চিন্তাবিদদের মতে, কোনো নারী নফল রোজা রাখার পর যদি হায়েজ (ঋতুস্রাব) শুরু হয়, তাহলে ওই দিনের রোজা ভেঙে যাবে এবং পরে তা কাজা করতে হবে। কারণ, ইসলামী শরিয়তে নফল ইবাদত শুরু করার পর তা সম্পূর্ণ করা আবশ্যক বলে গণ্য হয়।

আলেমদের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, নফল রোজা শুরু করার পর তা অসম্পূর্ণ অবস্থায় থামানো যায় না, যদি না শরিয়তসম্মত বাধা আসে। আর হায়েজ অবস্থায় রোজা রাখা নিষিদ্ধ; ফলে সেই দিনের রোজা কাজা করা ফরজ রোজার মতোই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায়।

রমজানের বাইরে শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজা রাখার বিষয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন— যে ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখে, এরপর শাওয়ালে ছয়টি রোজা রাখে, সে যেন পুরো বছর রোজা রাখল।
(সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৮১৫)

তাছাড়া জিলহজের প্রথম নয় দিন, মহররমের আশুরা, শাবান মাসের রোজা এবং একদিন পর পর দাউদ (আ.)-এর মতো রোজা রাখা নফল ইবাদতের অংশ।
এ ছাড়া প্রতি সপ্তাহের সোম ও বৃহস্পতিবার এবং প্রতি আরবি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখের রোজা (আইয়ামে বীজ) রাসুল (সা.) অত্যন্ত পছন্দ করতেন।

নফল রোজার সময় পিরিয়ড শুরু হলে তা বাতিল হয়ে যায় এবং পরবর্তী সময়ে সেই দিনের রোজা কাজা করতে হয়।
ইসলামী দৃষ্টিতে এটি শুধু কর্তব্য নয়, বরং ইবাদতের পরিপূর্ণতা রক্ষার অংশ হিসেবেই বিবেচিত।