আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) পূর্ণোদ্যমে প্রস্তুতি শুরু করেছে। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এনসিপি-কে 'শাপলা কলি' প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে এবং নভেম্বরের ১৫ তারিখের মধ্যে ৩০০ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি। তবে নির্বাচনী জোটে কার সঙ্গে যাবে, তা এখনও চূড়ান্ত করেনি এনসিপি।
এনসিপি'র আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, "আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। শাপলা কলি মার্কায় ইনশাআল্লাহ আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী দেব।"
এনসিপি সারাদেশে যোগ্য প্রার্থী বাছাইয়ে কঠোর প্রক্রিয়া অনুসরণ করছে। দলের যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিক উস সালেহীন জানিয়েছেন, ৩০০ আসনেই প্রার্থী নির্বাচনের কাজ জোরেশোরে চলছে এবং এটি ধাপে ধাপে চলতি মাস (নভেম্বর) থেকেই ঘোষণা করা হবে।
দলের সিনিয়র নেতাদের ভাষ্যমতে, প্রতিটি আসনে এমন প্রার্থী মনোনয়নের চেষ্টা চলছে যিনি স্থানীয়ভাবে গ্রহণযোগ্য, সৎ, ত্যাগী এবং জনগণের পাশে থাকা রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত।
দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী প্রধান এবং ডা. তাসনিম জারাকে সেক্রেটারি করা হয়েছে, যারা সার্বিক নির্বাচনী প্রস্তুতি তদারকির দায়িত্বে আছেন।
জোটের অবস্থান: এনসিপি এককভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিলেও, আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, তাদের সংস্কার আর জুলাই সনদের দাবির সঙ্গে কোনো দল সংহতি প্রকাশ করলে জোটের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। তবে মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ইতোমধ্যে জানিয়েছেন, বেগম খালেদা জিয়ার বিপক্ষে প্রার্থী দেবে না জাতীয় নাগরিক পার্টি। নাহিদ ইসলামও নিশ্চিত করেছেন, যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন, তাদের সম্মানে এনসিপি সেসব এলাকায় প্রার্থী নাও দিতে পারে। গণভোট: গণভোট কবে হবে, তা নিয়ে এনসিপি নেতাদের তেমন মাথাব্যথা নেই। তাদের ভাষ্য, গণভোট নির্বাচনের দিন বা আগেও হতে পারে, তবে এটিই মূল বিষয় নয়। মূল লক্ষ্য হলো শক্তভাবে নির্বাচনী প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানো। এনসিপি’র আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ঢাকা-১১ ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন রংপুর-৪ আসন থেকে নির্বাচনে লড়বেন। এছাড়াও, দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ঢাকা-১৮, সারজিস আলম পঞ্চগড়-১ এবং ডা. তাসনিম জারা ঢাকা-৯ আসন থেকে লড়তে পারেন।
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সম্ভাব্য নির্বাচনকে সামনে রেখে এনসিপি'র এই তৎপরতা দেশের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
ইএফ/