নিজের রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত অবস্থানকে কেন্দ্র করে আবারও বিতর্কের ঝড়ে পড়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে তিনি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। পোস্টে তিনি লিখেছেন, “শুভ জন্মদিন আপা” এবং সঙ্গে হাসিনার সাথে তোলা একটি ছবি যুক্ত করেছেন।

এই পোস্ট ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের পছন্দ হয়নি। তিনি সরাসরি সাকিবের নাম উল্লেখ না করলেও ফেসবুকে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট দেন, “একজনকে পুনর্বাসন না করায় সহস্র গালি দিয়েছেন আপনারা আমাকে। বাট আই ওয়াজ রাইট। এন্ড অব দ্য ডিসকাশন।”

সাকিবও পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেন। তিনি লেখেন, “যাক, শেষমেষ কেউ একজন স্বীকার করে নিলেন যে তার জন্য আমার আর বাংলাদেশের জার্সি গায়ে দেয়া হলো না, বাংলাদেশের জন্য খেলতে পারলাম না! ফিরবো হয়তো কোনো দিন আপন মাতৃভূমিতে, ভালোবাসি বাংলাদেশ।”

সামাজিক মাধ্যমে এই ঘটনার কারণে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকে তাকে ‘স্বৈরাচারের দোসর’ ও ‘দালাল’ হিসেবে আখ্যায়িত করছেন। একই সঙ্গে, যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত সাকিবকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেখা যাওয়ায় তার রাজনৈতিক অবস্থান ও কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

এর আগে, ২০২৪ সালের বিতর্কিত জাতীয় নির্বাচনে সাকিব মাগুরা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও মাত্র সাত মাসের মাথায় পদ শেষ হয়। গত বছর ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর থেকে তিনি দেশে ফেরেননি। এছাড়া জুলাই মাসে অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে এক গার্মেন্টসকর্মী হত্যা মামলায় সাকিবকে আসামি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আর্থিক কেলেঙ্কারির তদন্তও চলছে এবং গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি আছে।