গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এনসিপি মনে করে, সাংবাদিকদের ওপর হামলা গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। কারণ গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ; তাদের ওপর আক্রমণ জনগণের তথ্য জানার অধিকারকে ক্ষুণ্ণ করে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব ও মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন এক বার্তায় এ উদ্বেগের কথা জানান। বার্তায় এনসিপি তিনটি দাবি তুলে ধরেছে—
১. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ঘটনা নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে দোষীদের শনাক্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
২. রাজনৈতিক দলসমূহের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৩. গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি সম্মান ও সহযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
এনসিপি একই সঙ্গে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে। বার্তায় বলা হয়, মুক্ত সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ছাড়া কোনো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা টিকে থাকতে পারে না। এ ধরনের ঘটনা জনমনে ফ্যাসিবাদী আমলের রাজনৈতিক সংস্কৃতি ফিরে আসার আশঙ্কা সৃষ্টি করে।
ঘটনার প্রেক্ষাপট অনুযায়ী, ১৯ অক্টোবর বিকেলে গুলশান কার্যালয়ে সিলেট বিভাগের বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার চলাকালীন সময়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে। এতে জাহিদুল ইসলাম নামে সাংবাদিক (দৈনিক আমার দেশ) আক্রান্ত হন; তার মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলা হয়। এছাড়া কয়েকজন সাংবাদিককেও হেনস্তার শিকার হতে হয়।
এনসিপি সরকারের পাশাপাশি সব রাজনৈতিক দলকে সতর্ক করে দিয়েছে, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে।