বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন সবসময়ই বিতর্ক, সংঘাত ও মতাদর্শের টানাপোড়েনে সরব। তবে সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক অর্থনৈতিক সূচক ও সাধারণ মানুষের ভোগান্তি নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান সেই আলোচনা আরও তীব্র করে তুললেন।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী ব্যাংক-বীমা পেশাজীবী পরিষদের এক আলোচনা সভায় তিনি অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের শাসনে বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে গেছে। তার ভাষায়, “২৩৪ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার হয়েছে, যা খেটে খাওয়া মানুষের ঘামে অর্জিত টাকা।”

ড. মঈন খানের বক্তব্যে একধরনের হতাশার সুর স্পষ্ট। তিনি মনে করেন, রাজনীতি যদি মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা না রাখে তবে তার কোনো মূল্য নেই। “মানুষের মুখে হাসি না ফিরলে, তাদের পেটের ক্ষুধা না মিটলে রাজনীতি অর্থহীন হয়ে পড়ে”— প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের এই দর্শনকে সামনে টেনে তিনি বলেন, আজকের বাংলাদেশে সেই রাজনীতির সঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করেছে।

তার অভিযোগ, সরকারের আমলে দুর্নীতি ও লুটপাট এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, পদ্মা সেতুর মতো একটি প্রকল্পের অর্থ লুট করেও বিদেশে পাচার করা হয়েছে। “যে অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে, তা দিয়ে ১০০টি পদ্মা সেতু নির্মাণ করা যেত,” মন্তব্য করেন তিনি।

আলোচনা সভায় বিএনপির অন্য নেতারাও সরকারের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দমননীতি ও দুর্নীতির নানা অভিযোগ তুলে ধরেন। তবে মঈন খানের বক্তব্যে বারবার উঠে আসে একটি বিষয়— দুর্নীতি রোধ ছাড়া বাংলাদেশের কোনো সংস্কারই টেকসই হবে না।

সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি এম ওয়াহিদ মজুমদার। উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন, মিডিয়া সেলের সদস্য মাহমুদা হাবিবাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।