ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাকভূমিতে বিএনপি মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় এখন কঠোর, স্তরভিত্তিক যাচাই চালু করেছে। সূত্র বলছে প্রার্থী হতে হলে ছয়টি বাধা পেরোতে হবে; যাচাই-পরীক্ষায় রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতা, সাংগঠনিক কার্যক্ষমতা, আন্দোলনে ভূমিকা ও অসংকোচিত ত্যাগের ইতিহাসকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। পরিচিতি বা পরিচিত নাম একমাত্র মানদণ্ড নয়, দলের উচ্চ নেতৃত্ব স্পষ্ট করে দিয়েছে।
হাইকমান্ড কথায় বলছে, এবার শুধু পরিচিতি নয়; জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা, দলীয় কর্মকাণ্ডে সক্রিয়তা এবং ন্যায়সঙ্গত রাজনৈতিক তাৎপর্য থাকা জরুরি। যেসব আসনে একক প্রার্থী রয়েছে সেগুলোতে দল অপেক্ষাকৃত স্বস্তি বোধ করছে; কিন্তু যেখানে বহু প্রার্থী, সেখানে ঢাকায় ডেকে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পারস্পরিক সমঝোতা জরুরি। বর্তমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সাংগঠনিক নেতারা আবেদনকারীদের এনআইডি ও পাসপোর্ট সাইজের ছবি সংগ্রহ করছেন কেন্দ্রে রাখা এসব ডকুমেন্ট পরবর্তী যাচাই-পর্বে কাজে লাগবে।
মানবসম্পদ ও প্রার্থী যাচাইয়ের পর ধাপে ধাপে মনোনয়ন বোর্ডের সামনে সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে আবেদনকারীদের কার্যকারিতা মেপে দেখা হবে। দলের লক্ষ্য অক্টোবরের মধ্যেই প্রাথমিক তালিকা ঘোষণা করা এবং কয়েক শত আসনে একক প্রার্থীর চূড়ান্ত রূপ দেওয়া।
তবে এই প্রক্রিয়ার ফলে অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং মনোবৈকল্য বাড়ার শঙ্কা রয়েছে; হাইকমান্ড সেই ঝামেলা কমাতে অঞ্চলভিত্তিক সমন্বয় ত্বরান্বিত করেছে। নেতারা মনে করিয়ে দিচ্ছেন একবার মনোনয়ন ঘোষিত হলে দলের সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে তা নিশ্চিত করাই বর্তমান কৌশলের উদ্দেশ্য।
ইএফ/