ফেসবুকে বিকৃত ছবি শেয়ারকে কেন্দ্র করে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকালে গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের পালিশারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত ২৯ নেতা-কর্মী আহত হন। আহতদের মধ্যে পাঁচজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বিএনপির আহতদের মধ্যে রয়েছেন:
- সাইফুল মিজী (ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক)
- নেছার আহম্মেদ চৌধুরী (ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি)
- আবদুল কুদ্দুস (স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি)
- কামাল (ইউনিয়ন যুবদলের সহসভাপতি)
জামায়াতের আহতদের মধ্যে আছেন: হাফেজ মো. আব্দুল মোতালেব, হাফেজ মো. ইলিয়াছ হোসেন, ফরিদুল ইসলাম, হাফেজ আহমেদ, আনোয়ার হোসেন, ফয়সাল হোসেন, রাশেদ হোসেন, সজিব হোসেন, শরীফ পাটওয়ারী, রাজু ও শামীম হোসেন।
স্থানীয়দের বক্তব্য অনুযায়ী, ইউনিয়ন জামায়াতের আমির হাফেজ মো. ইলিয়াছ হোসেনের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার বিকৃত ছবি পোস্ট হয়। এর ফলে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে উত্তেজনা তৈরি হয়। শুক্রবার সকালে বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিষয়টি জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে জামায়াতের নেতা-কর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়।
ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা ইলিয়াস হোসেন বলেন, “আমার ব্যক্তিগত ফেসবুক থেকে ছবিটি অসাবধানবশত শেয়ার হয়ে গেছে। বিষয়টি জানার পর আমি ডিলেট করেছি। আমার উদ্দেশ্য ছিল ক্ষমা চাইতে, কিন্তু আগে থেকেই হামলা করা হয়।”
ইউনিয়ন জামায়াতের সাবেক আমির হাফেজ আব্দুল মোতালেব জানিয়েছেন, “ক্ষমা চাইলে আর কিছু থাকত না। বিএনপি নেতা-কর্মীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়, তখন এলাকার লোকজন প্রতিহত করে।”
উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, হামলার বিষয়টি উপজেলা বিএনপির নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে এবং দলের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, “দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়েছে। পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। কেউ অভিযোগ দেয়নি, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”