পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে মো. রায়হানকে আটক করায় বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) হাটহাজারী উপজেলা জামায়াত মুক্তি ও নিন্দার বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হাটহাজারী পৌরসভার আলীপুর রহমানিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী তানভীরকে কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসীরা ২১ অক্টোবর নির্মমভাবে হত্যা করে।

জামায়াতের বরাত দিয়ে বলা হয়, হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ প্রকৃত খুনিদের ধরতে টালবাহানা করছে এবং নির্দোষ চাচাতো ভাই মো. রায়হানকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারের পর তাকে নির্যাতন করা হয় এবং একাধিক মামলায় আসামি করা হয়।

উপজেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক শোয়াইব চৌধুরী ও সেক্রেটারি অধ্যাপক আব্দুল মালেক চৌধুরী বলেন, পুলিশর রহস্যজনক ভূমিকা এবং ওসির আচরণ হাটহাজারীবাসীর মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। গ্রেপ্তারকৃত রায়হান শুধুমাত্র হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে এগিয়ে এসেছিলেন।

ঘটনার বিবরণ অনুযায়ী, নিহত তানভীরের চাচাতো ভাই রায়হান পুলিশের অব্যবস্থাপনা বুঝতে পারার পর থানায় যান এবং হত্যাকারীদের মুখের ছবি সংরক্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় ওসির ক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ার কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে ভিন্ন রাজনৈতিক ঘটনার মামলায়ও তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

জামায়াত নেতৃবৃন্দ এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, নির্দোষ তরুণের এই ধরনের ফাঁসানো আইনের শাসন ও মানুষের আস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। তারা গ্রেপ্তারের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেছে।