বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং গণভোটের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়।

জামায়াতের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ লক্ষ্য করছে যে, জুলাই জাতীয় সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়ার লক্ষ্যে গণভোট আয়োজনের বিষয়ে সরকার গড়িমসি করছে, যা জাতির জন্য উদ্বেগজনক।

জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠানের ধারণার তীব্র বিরোধিতা করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “একই দিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে গণভোটের গুরুত্ব মারাত্মকভাবে হ্রাস পাবে। এটি গণভোট প্রক্রিয়াকে অনিশ্চয়তায় ফেলবে। কারণ, জাতীয় নির্বাচনে কোনো ভোটকেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত হলে গণভোটও স্থগিত হয়ে যাবে যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”

এই প্রেক্ষাপটে জামায়াতে ইসলামী অন্তর্বর্তী সরকারের নিকট জোর দাবি জানিয়েছে যে: ১. সরকার যেন অবিলম্বে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করে। ২. আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোটের আয়োজন করে। ৩. ওই গণভোটের ফলাফলের আলোকে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে।

জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য করতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সরকার ও নির্বাচন কমিশনের নিকট আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি জানিয়েছে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে।

বৈঠকে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান তার সাম্প্রতিক বিদেশ সফরের (সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য) নানা দিক এবং কূটনৈতিক অগ্রগতি নেতৃবৃন্দের সামনে তুলে ধরেন। সফল সফরের জন্য কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ জানানো হয়।

ইএফ/