বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার চরিত্রের দিক দিয়ে দল নিরপেক্ষ হওয়ার কথা থাকলেও গত ১৪ মাসে তাদের আচরণে দল নিরপেক্ষতা ছিল না। তিনি আরও বলেন, সরকার পুরোপুরি পক্ষপাতদুষ্টতায় কাজ করছে।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সংহতি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল হক বলেন, যেহেতু নির্বাচন খুব কাছাকাছি, তাই সরকারের উচিত হবে তাদের বিরুদ্ধে উঠা কলুষিত পদক্ষেপ থেকে দূরে সরে আসা। না হলে দেশের জনগণের ১৭ বছর পর স্বপ্নের নিরপেক্ষ নির্বাচন কখনোই সম্ভব হবে না এবং ভোট পরিবেশও ভয়-ভীতি মুক্ত থাকবে না।

তিনি আরও বলেন, বিতর্কিত উপদেষ্টাদের অবিলম্বে বরখাস্ত করতে হবে। প্রয়োজনে উপদেষ্টা পরিষদকে ছোট করা যেতে পারে এবং দক্ষ, প্রজ্ঞাবান ব্যক্তিদের যুক্ত করা যেতে পারে। কিন্তু সরকারে এমন কাউকে রাখলে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না।

সাইফুল হক জানান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ইতোমধ্যে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছে এবং বিশ্বাস করেন আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে, যা সময় ও খরচ বাঁচাবে।

দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করায় অন্তর্বর্তী সরকার দুর্বল ও অকার্যকর মনে হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। এতে নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। তাই নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে গতিশীল করা জরুরি, অন্যথায় ভোটকেন্দ্রে মানুষের উপস্থিতি নিশ্চিত করা যাবে না।

সম্প্রতি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পেছনে নাশকতা থাকতে পারে বলে মনে করেন সাইফুল হক। তিনি বলেন, কোনো বিশেষ মহল সরকারকে বিপদে ফেলতে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটাতে পারে এবং নির্বাচনকে হুমকির মধ্যে ফেলতে চক্রান্ত করছে। এজন্য ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা উচিত।

সংবাদ সম্মেলনে আগামী ২৪ অক্টোবর ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘ঢাকা সমাবেশ ও গণমিছিল’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কমিটির আহ্বায়ক আকবর খান জানান, সমগ্র দেশবাসীকে এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। তারা চান আগামী নির্বাচনে কালো টাকা ও পেশি শক্তির ব্যবহার বন্ধ হোক।