জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান অভিযোগ করেছেন, সরকারের ভেতরে থেকেই একটি মহল রাষ্ট্র ও জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তিনি বলেন, “এটি জনগণ কোনোভাবেই মেনে নেবে না। ফ্যাসিবাদের মতোই ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিরোধ করবে সাধারণ মানুষ।”
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের উত্তর গেটে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কর্মসূচিটি ছিল জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ৫-দফা দাবির অংশ।
রফিকুল ইসলাম বলেন, “জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতেই হবে। যারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে তাদের চিহ্নিত করা হবে। এখনও দেশে নির্বাচনের জন্য সমান সুযোগ বা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়নি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও উন্নত হয়নি।”
জামায়াতের ৫ দফা দাবি গুলো হলো যথাক্রমে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন আয়োজন, সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি, ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম-নির্যাতন ও দুর্নীতির বিচার, জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধকরণ।
তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ স্টাইলে আর কোনো নির্বাচন এ দেশে হবে না। জুলাই হত্যাকাণ্ডের দৃশ্যমান বিচার শেষে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে। জনগণের আন্দোলনের মধ্য দিয়েই জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা হবে।”
গণভোটের দাবিও তুলেন রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, “জনগণ যদি পিআরের পক্ষে থাকে, সরকারকে সেটি মানতেই হবে। আর বিপক্ষে গেলে আমরা সেটিও মেনে নেব।”
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম এবং সঞ্চালনা করেন সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান।
শাহজাহান বলেন, “জামায়াত নির্বাচনে যেতে অনাগ্রহী নয়। আমরা ইতোমধ্যেই তিনশ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছি। অথচ অন্যরা প্রস্তুতির নামে কালক্ষেপণ করছে।”
সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধের ম্যান্ডেট ও ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের ইতিহাস স্মরণ করে বলেন, “ফ্যাসিবাদকে পুনরায় ফিরিয়ে আনার যেকোনো প্রচেষ্টা রুখে দিতে হবে। জাতীয় পার্টিসহ ফ্যাসিবাদের দোসরদের কার্যক্রম অবিলম্বে নিষিদ্ধ করা জরুরি।”