প্রতিষ্ঠার ৮ মাসের মাথায় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) বিলুপ্ত করে 'জাতীয় ছাত্রশক্তি' গঠন করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার এক সমন্বয় সভায় বাগছাসের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার এ ঘোষণা দেন।

রাজধানীর আবু সাঈদ কনভেনশন হলে বাগছাস পুনর্গঠন ও ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণের লক্ষ্যে জাতীয় সমন্বয় সভায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার, সদস্যসচিব জাহিদ আহসান প্রমুখ।

'জাতীয় ছাত্রশক্তি'র কমিটি আজ ঘোষণা করা হয়নি। তবে এর স্লোগান থাকছে 'শিক্ষা ঐক্য মুক্তি'।

জুলাই আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের  নেতাদের একটি অংশ গত ২৬ ফেব্রুয়ারি গঠন করেন বাগছাস। 
কিন্তু ডাকসু, জাকসু নির্বাচনে খারাপ ফলাফলের বাগছাস নেতারা সংগঠনটির কাঠামো পুনর্বিবেচনা করার চিন্তা করেন।

আজ 'জাতীয় ছাত্রশক্তি'র আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে আবু বাকের মজুমদার বলেন, 'নতুন সংগঠন এনসিপির আদর্শিক সহযোগী হিসেবে কাজ করবে। কিন্তু এটাকে লেজুরবৃত্তিক বলা যাবে না।'

'আমাদের সিদ্ধান্ত আমরা নেবো। নিজেদের পলিসি নিজেরা ঠিক করব। আমাদের লিডারশিপ এমন হবে যে কখনো কোনো বিষয়ে কম্প্রোমাইজ করব না,' বলেন তিনি।

'জাতীয় ছাত্রশক্তি'কে একটি স্বতন্ত্র সংগঠন হিসেবে কাজ করবে উল্লেখ করে বাকের বলেন, 'যেহেতু জাতীয় রাজনীতিতে ছাত্র সংগঠনের প্রভাব থাকে। আমরা মনে করি এনসিপি যে ধারার রাজনীতি করে, তাদের আদর্শিক ধারা আর আমাদের আদর্শিক ধারা এক। সেজন্য স্পষ্টভাবে বলছি আমরা এনসিপির সহযোগী আদর্শিক ছাত্র সংগঠন হিসেবে কাজ করব।'

'ইতোমধ্যে আমরা নাম পরিবর্তন করেছি। নাম পরিবর্তন হয়ে "জাতীয় ছাত্রশক্তি" হয়েছে। রিফর্মেশন প্রসেসের অংশ হিসেবে আমরা আরও কিছু বিষয় বদলাব,' বলেন তিনি