বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, দেশের প্রশাসনে গত ১৫ বছরে অন্যায় হয়েছে এবং তা দলীয়করণের শিকার হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা ও স্কুল শিক্ষকসহ অনেকেই সরকারের চাপে অন্যায় করতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি বলেন, “সরকারি কর্মকর্তাদের ছুড়ে দিয়ে দেশ চালানো সম্ভব নয়।”
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিএনপির তিন সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধি দল নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। সাক্ষাৎকার শেষে মঈন খান সাংবাদিকদের জানান, বিগত তিনটি নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে এবং এটি এমনকি প্রশাসনের মধ্যে থাকা কিছু বিতর্কিত কর্মকর্তাদের কারণে ঘটেছে।
তিনি বলেন, “১৫ বছরের কর্মকর্তারা ১৫ মাসে বদলানো সম্ভব নয়। আমরা নির্বাচন কমিশনকে এ বিষয়ে সচেতন করেছি এবং বলেছি যেন বিতর্কিত কর্মকর্তারা আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করতে পারে।”
মঈন খান আরও বলেন, “সাধারণ নির্বাচন একদিনের বিরাট কর্মযজ্ঞ, যেখানে ৩০০টি নির্বাচনী এলাকায় ৪২ হাজার কেন্দ্র থাকে। সরকার এই নির্বাচন পরিচালনায় সিভিল, পুলিশ, বিচার বিভাগ থেকে প্রায় ১০ লাখ লোক ধার করে নিয়ে আসে। বিগত ১৫ বছর প্রশাসনকে রাজনৈতিকভাবে তৈরি করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, সাংবাদিকদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে যাতে তারা বিনা বাঁধায় কাজ করতে পারে। মঈন খান বলেন, “আমরা সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী এবং দীর্ঘ ১৭ বছরের সংগ্রাম ও ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আজকের অবস্থানে পৌঁছেছি।”
বিএনপি নেতা বলেন, নির্বাচন কমিশনকে বলা হয়েছে যেন তারা একটি ভালো উদাহরণ স্থাপন করে এবং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার দায়িত্ব পালন করে।