দেশের বাজারে ঘন ঘনই ওঠা-নামা করছে স্বর্ণের দাম। আজ কিছুটা কমছে তো দুদিন পরই বেড়ে যাচ্ছে। আবার আজ বাড়লে দুদিন পরই কমে যাচ্ছে। স্বর্ণের আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতার কারণে দেশের বাজারেও এমন টালমাটাল অবস্থা।

সবশেষ শনিবার (১ নভেম্বর) ভরিতে ১ হাজার ৬৮০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম দেশের বাজারে ২ লাখ ১ হাজার ৭৭৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা এর আগে ২ লাখ ৯৬ টাকা নির্ধারণ নির্ধারণ করা ছিল।  

এদিন রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বর্ণের দাম বৃদ্ধির এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। আজ রোববার (২ নভেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।

এ নিয়ে চলতি বছর মোট ৭৩ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ৫০ বার, আর কমেছে মাত্র ২৩ বার। 

স্বর্ণের দাম এত ঘন ঘন ওঠা-নামার বিষয়ে বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিংয়ের চেয়ারম্যান ও বাজুসের সহসভাপতি মাসুদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা, যুদ্ধ পরিস্থিতি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতিসহ নানা কারণে চলতি বছর বিশ্ববাজারে স্বর্ণের টালামাটাল অবস্থা বিরাজ করছে। যার প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারে।’

নতুন দাম অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনা ২ লাখ ১ হাজার ৭৭৬ টাকা, ২১ ক্যারেট ১ লাখ ৯২ হাজার ৫৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ৬৫ হাজার ৮০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতি ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনা ২ লাখ ৯৬ টাকা, ২১ ক্যারেট ১ লাখ ৯০ হাজার ৯৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭১৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতি ১ লাখ ৩৬ হাজার ১৪ টাকা নির্ধারণ করা ছিল।

বাজুস জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

এর আগে ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।

ইএফ/