প্রতি বছর জানুয়ারিতে টঙ্গীর তুরাগ তীরে তাবলিগ জামাতের যে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়, তা এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে স্থগিত করা হয়েছে। সরকারের উচ্চপর্যায় ও তাবলিগ জামাত কর্তৃপক্ষের সম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইজতেমা আপাতত নির্বাচনের আগে আয়োজন করা হচ্ছে না, তবে ভোটের পর সুবিধাজনক সময়ে তা অনুষ্ঠিত হতে পারে।

রোববার (২ নভেম্বর) সকালে সচিবালয়ে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মুরব্বিদের সঙ্গে সরকারের উপদেষ্টা পর্যায়ে এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠক শেষে ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন সাংবাদিকদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, শিল্প এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি সহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, “নির্বাচনের আগে তাবলিগ জামাতের ইজতেমা হচ্ছে না। নির্বাচন ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। সেক্ষেত্রে রমজানের আগে আর ইজতেমা আয়োজনের সুযোগ থাকছে না। আশা করা যায়, রমজানের পরে সুবিধাজনক সময়ে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হতে পারে।”

উপদেষ্টা নিশ্চিত করেন যে তাবলিগের উভয় গ্রুপ এই স্থগিতের বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন। পরবর্তীতে তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ইজতেমার তারিখ চূড়ান্ত করবেন। তবে তিনি স্পষ্ট করে জানান, ইজতেমা দুই পক্ষের জন্য আলাদা আলাদাভাবেই হবে, একসঙ্গে হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

এক প্রশ্নের জবাবে ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন আরও বলেন, নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচনের আমেজ যেহেতু ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে, তাই যথাসময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মূলত দেশের বৃহত্তর রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতেই ইজতেমার মতো বিশাল জনসমাগমের আয়োজন নির্বাচনের পর সরিয়ে নেওয়া হলো।

ইএফ/