মগবাজারের আল-ফালাহ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে-আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের দাবি করেছেন যে বিএনপি শুরু থেকেই গণভোট চাননি; এখন বাধ্য হয়ে গ্রহণ করলেও তারা সেটিকে গলা টিপে হত্যা করার চেষ্টায় লিপ্ত। তিনি বলেন, বিএনপি সংস্কারপ্রক্রিয়ায় অংশ নেয়নি এবং নোট অব ডিসেন্টগুলো রাষ্ট্রীয় অগ্রগতিকে ব্যাহত করছে।

তাহের বলেন, “বিএনপি প্রথমে সংস্কারই চায়নি; জনগণের চাপে তারা হলেও অংশগ্রহণে বাধ্য হয়েছে। পরে নানা প্যাঁচ কেটে গণভোটকে কার্যত বিমূর্ত করে দেওয়া হচ্ছে।” তিনি বলেছিলেন, দলের কিছু দাবি নোট অব ডিসেন্ট আকারে থাকলেও সেগুলো যদি সন্নিবেশিত না করা হয় তাহলে সংস্কারের প্রয়োজনই নেই এমন বক্তব্যকে তিনি সমালোচনা করেছেন।

সংস্কারের কিছু প্রস্তাবে জামায়াত স্যাক্রিফাইস করেছে বলে জানান তাহের। তিনি উদাহরণ দেন একটি সাংবিধানিক বডি গঠন, যেখানে সরকারের প্রভাবশালী পদ থেকে নিয়োগ প্রভাবিত হবেনা; প্রধানমন্ত্রীর একগুচ্ছ শর্তাবলী যেমন একসঙ্গে ১০ বছরের বেশি ক্ষমতাধর থাকা যাবে না এবং দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী একই ব্যক্তি হবেন না এসব নিয়েও আলোচনার সহমত গড়ে ওঠার কথা উল্লেখ করেন তিনি।

তাহের আরও বলেন, আমরা ফ্যাসিবাদ চাই না; ক্ষমতার সুবিচার চাই। তিনি সবাইকে উগ্রবাদ ও বহির্মুখী কণ্ঠস্বর ত্যাগ করার আহ্বান জানান এবং বলেন, ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলো যে সহযোগিতায় জল্পনা ছাড়াই ‘জুলাই চার্টার’ আকারে সম্মত হয়েছে, তা পুরোদমে বাস্তবায়ন করতে হবে। কোনো ব্যত্যয় হলে জনগণ তা গ্রহণ করবে না এই সতর্কবাণীও দেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আন্তঃদলীয় ঐক্য ও সংলাপের ওপর গুরুত্বারোপ করে আন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দ্রুত আদেশ জারি করে গণভোটের তারিখ ঘোষণা ও ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ব্যবস্থার প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানান। তিনি মত দিলেন, ইলেকশন কমিশন ও সরকার যাতে নিরপেক্ষভাবে কাজ করে তা নিশ্চিত করা সবাইর নৈতিক দায়িত্ব।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতারা অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, মাওলানা এটিএম মাছুম, ড. হামিদুর রহমান আজাদ ও মতিউর রহমান আকন্দ।