রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে সরকারি প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা তিন মামলায় মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) নয়জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, এদিন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মোটর ক্লিনার মোহাম্মদ উজ্জ্বল হোসেন, কালীগঞ্জের সাব রেজিস্ট্রার জাহিদুর রহমান, সদর রেকর্ডরুমের সাব রেজিস্ট্রার মাহবুবুর রহমান, সাবেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম মেজবাহউর রহমান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সহকারী কাম হিসাব রক্ষক তৈয়বা রহিম, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী কামরুন্নাহার, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম এবং কম্পিউটার অপারেটর মুক্তি তরফদার সাক্ষ্য দেন।
সাক্ষ্যগ্রহণের সময় আসামিদের পক্ষের আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় তাদের জেরা করা হয়নি। আদালত আগামী ১৫ অক্টোবর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেছেন।
সাক্ষ্যে উঠে আসে, শেখ হাসিনা স্বামী মরহুম ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ধানমন্ডির সুধাসদনের বাড়ি থেকে নিজের অংশ বুঝে নেন এবং পরে সেই সম্পত্তি দুই সন্তান জয় ও পুতুলকে দান করেন। কিন্তু ঢাকায় এ সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও নিজেদের নামে কোনো সম্পত্তি নেই বলে মিথ্যা তথ্য দিয়ে রাজউক থেকে প্লট বরাদ্দ নেন তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা।
দুদক প্রসিকিউটর খান মো. মঈনুল হাসান লিপন বলেন, আদালতের সমন অনুযায়ী নয়জন সাক্ষী হাজির হয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এ মামলাগুলোর একটিতে শেখ হাসিনাসহ ১২ জন, আরেকটিতে সজীব ওয়াজেদ জয়কে আসামি করে ১৭ জন এবং অপরটিতে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে আসামি করে ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
গত জানুয়ারিতে দুদক পৃথক ছয়টি মামলা করে। অভিযোগে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে শেখ হাসিনা ও তার পরিবার ক্ষমতার অপব্যবহার করে অযোগ্য হয়েও পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরে ১০ কাঠা করে প্লট বরাদ্দ নেন।