বরগুনার আমতলী উপজেলায় মাছ শিকারে ২২ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা চলাকালে বরাদ্দের চাল না পেয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয় জেলেরা। সোমবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা পরিষদের সামনে শতাধিক জেলে বিক্ষোভ করে লিখিত অভিযোগ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে।

চাওড়া ইউনিয়নের জেলেদের অভিযোগ, ৬০২ জন কার্ডধারীর মধ্যে প্রায় ৩০০–৩৫০ জন কোনো চাল পাননি। ইউনিয়ন পরিষদের কর্মকর্তারা নাকি স্বাক্ষর জাল করে বরাদ্দের চাল তুলে আত্মসাৎ করেছেন। এতে ক্ষুব্ধ জেলেরা বলেন, “আমরা মাছ ধরতে পারছি না, সংসারে চুলো জ্বলছে না, এখন চালও নেই আমরা খাব কী?”

অভিযোগ পাওয়ার পর আমতলী উপজেলা প্রশাসন তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, “অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে কৃষি কর্মকর্তা রাসেল মিয়াকে আহ্বায়ক করে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।”

এদিকে ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ দাবি করেছেন, “সব জেলেকে চাল দেওয়া হয়েছে।” তবে স্থানীয়রা বলছেন, চালের বণ্টন তালিকায় অনিয়মের প্রমাণ সহজেই পাওয়া যাবে।

বর্তমানে নিষেধাজ্ঞা চলায় জেলেদের আয় বন্ধ, পরিবার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকে। তাই দ্রুত তদন্ত শেষে প্রকৃত কার্ডধারীদের চাল প্রদান না হলে বড় বিক্ষোভের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।