নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে চিটাগাং রোড এলাকায় সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অফিস ও আবাসিক এলাকা পরিণত হয়েছে অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয়ে। সরকারি বাসায় বহিরাগতদের অবৈধ বসবাসে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ নিরাপত্তাহীনতা, ঘটছে অপরাধও।
সম্প্রতি ১৩ আগস্ট দিবাগত রাতে উচ্চমান সহকারী তাহের সরকারের বরাদ্দ বাসায় খুন হন সাবিনা আক্তার লাকি (৩৬)। তিনি সওজের কর্মচারী না হয়েও পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন। পরকীয়ার জেরে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে নাজিম ওরফে নীরব। এ ঘটনায় বহিরাগতদের দীর্ঘদিনের অবৈধ দখলের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৩৪টি সরকারি বাসার বেশিরভাগই দখল করে রেখেছেন অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী ও বহিরাগত ভাড়াটিয়ারা। কেউ কেউ বাসা বিক্রি পর্যন্ত করেছেন।
অভিযোগ রয়েছে, শ্রমিকলীগের প্রভাব খাটিয়ে বাসাগুলো নিয়ন্ত্রণ করছেন আবাসিক কমিটির সভাপতি মফিজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক জামায়াত উল্লাহ। তারা বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিলসহ ভাড়ার টাকা নিজেরা নিচ্ছেন।
উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আহসান উল্যাহ মজুমদার বলেন, “হত্যাকাণ্ডের পর বিষয়টি সামনে এসেছে। শিগগিরই অবৈধ ভাড়াটিয়াদের উচ্ছেদ করা হবে।” তবে বাসা বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা হবে কিনা, তা জানাননি তিনি।