রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা সভাপতির পদত্যাগ দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন। টানা ২১ ঘণ্টা অনশন চলাকালীন পাঁচ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, যার মধ্যে দুইজনকে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা গত চার দিন ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে শাটডাউন কর্মসূচি পালন করেছেন। সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব তাদের খোঁজ নেন এবং দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন।
অনশনরত শিক্ষার্থীরা হলেন— ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মো. সুমন আলী, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ইকরা, হুমাইরা, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ইমন এবং ২০২২-২৩ এর সাদিক।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, প্রশাসন শুধু আশ্বাসই দিচ্ছে, কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী রাইসুল মাহমুদ বলেন, আমাদের একমাত্র দাবি—বহিরাগত সভাপতির অপসারণ। আমরা চাই, বিভাগের সভাপতি হবেন আমাদেরই বিভাগের কেউ। প্রশাসন এই দাবি মেনে নিচ্ছে না, তাই অনশন চলবে।
২০১৯-২০ সেশনের জান্নাত জামান আরও জানান, আমরা প্রশাসনের সঙ্গে বসেছিলাম, কিন্তু তারা কোনো স্থির আশ্বাস দেয়নি। বর্তমান সভাপতির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আমাদের মেনে নেওয়ার কথা বলছে। আমরা তা চাই না। আমাদের দাবি পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে আমার দায়িত্ব সব বিভাগ সুন্দরভাবে চলবে তা নিশ্চিত করা। আমরা সমাধান বের করার চেষ্টা করছি। সময় লাগবে, কিন্তু দ্রুত একটা সমাধান পাওয়া যাবে।
প্রসঙ্গত, রোববার দুপুরে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। আশ্বাস না পাওয়ায় তারা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আমরণ অনশন শুরু করেছেন, যা এখন পর্যন্ত চলছেই।
