জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জুবায়েদ হোসেন হত্যার ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন মাহির রহমানকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। মাহিরকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করার দাবি করেছেন তার মা, রেখা রহমান। সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে তিনি রাজধানীর চকবাজার থানায় ছেলেকে সোপর্দ করার কথা জানান, তবে পুলিশ এ তথ্য স্বীকার করেনি।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। ডিএমপির লালবাগ জোনের উপ-কমিশনার মল্লিক আহসান উদ্দিন সামি বলেন, “আমরা প্রধান সন্দেহভাজনকে আটক করতে পেরেছি, এটাই বড় সফলতা। এই মুহূর্তে আমাদের হেফাজতে বর্ষাসহ চারজন রয়েছে।”
প্রধান সন্দেহভাজন মাহিরকে তার মা নিজেই থানায় নিয়ে গিয়েছেন কি না—এ বিষয়ে মল্লিক আহসান উদ্দিন মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন। মাহিরের মা মোবাইলে জানান, “আমি সকাল সাড়ে ৬টার সময় তাকে চকবাজার থানায় দিয়ে এসেছি। মাহির যখন গত রোববার সন্ধ্যা ৬টার সময় হাতে রক্ত নিয়ে বাসায় আসে, তখন আমি বিস্তারিত জানতে চাইলে ও সব বলে।”
রেখা রহমান আরও জানান, “মাহিরের সঙ্গে নয় বছর বর্ষার প্রেম ছিল। কিন্তু বর্তমানে যে জুবায়েদ মারা গেছে, তার প্রেমের কারণে মাহির ক্ষুব্ধ হয়ে ছেলেটিকে কোপ দেয়। আমার ছেলে অপরাধ করেছে দেখে আমি নিজেই তাকে থানায় নিয়ে এসেছি।”
সোমবার সন্ধ্যায় লালবাগ জোনের ডিসি মল্লিক আহসান উদ্দিন সামি বলেন, “বিশেষ অভিযানে আমরা এখন পর্যন্ত তিনজন আসামিকে আটক করেছি। তবে এখনই তাদের নাম প্রকাশ করা হবে না, তদন্তের স্বার্থে। আগামীকাল (মঙ্গলবার) বিস্তারিত ব্রিফিং দেওয়া হবে।”
এর আগে রোববার বর্ষাকে তার নিজ বাসা থেকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। হত্যাকাণ্ডের প্রায় ৩০ ঘণ্টা পার হওয়া পর্যন্ত মামলা হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, সন্দেহভাজনদের আটক করার পর একসাথে সব অপরাধীর নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হবে।
জুবায়েদ হোসেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। রোববার (১৯ অক্টোবর) পুরান ঢাকার আরমানিটোলার নূরবক্স লেনের একটি বাসায় টিউশনি করতে গেলে সিঁড়িতে ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন।