সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে ভুল তথ্য উপস্থাপন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা অধ্যাপক নাহরিন আই খানের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে টকশোরই অপর আলোচক, যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব ফেসবুকে নিজের অবস্থান জানিয়েছেন।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন,“আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী সময়ে জামায়াত-শিবিরকে সিস্টেমেটিকভাবে ভিলিফাই করা হয়েছিল। আজও অনেকে একই কাজ করছেন মিথ্যার সঙ্গে মিথ্যা মিশিয়ে এক ধরনের ফিকশন তৈরি করছেন।”
তিনি জানান, টকশোতে অধ্যাপক নাহরিন দাবি করেন যে, সিরাজগঞ্জ জামায়াতের সেক্রেটারি আওয়ামী লীগের পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের স্ত্রীদের নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেছেন।
কিন্তু ড. গালিব বলেন, পরে ওই জামায়াত নেতা ফোনে বিষয়টি অস্বীকার করেন। বরং তিনি জানান, আওয়ামী লীগের সাধারণ ভোটারদের প্রতি তাদের কোনো প্রতিশোধমূলক আচরণ ছিল না এই কারণেই অনেকেই তাদের ভোট দিতে পারেন।
ড. গালিব মন্তব্য করেন, “যিনি এমন অভিযোগ তুলেছেন, তার প্রমাণ থাকা উচিত। যাচাই না করে ফেসবুকের কোনো পোস্ট দেখে টকশোতে বক্তব্য দেওয়া দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ। ভুল হলে তা স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়া উচিত।”
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক সমালোচনা স্বাভাবিক বিষয় হলেও ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা প্রচারণা চালানো গ্রহণযোগ্য নয়। “মিথ্যা তথ্য দিয়ে যদি কাউকে থামানো যেত, তাহলে আওয়ামী লীগই ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকত,” যোগ করেন গালিব।
এর আগে অধ্যাপক নাহরিন আই খান চ্যানেল ২৪-এর এক টকশোতেও একই প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন, যেখানে তিনি সিরাজগঞ্জ জামায়াত নেতার নাম উল্লেখ করে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। পরে ওই নেতা গণমাধ্যমে বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং বলেন, “আমি কোথাও এমন কথা বলিনি।”
ইএফ/