জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ হোসাইন হত্যার বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। এ ঘটনায় আটক মাহির রহমান ও ছাত্রা বার্জিস শাবনাম বর্ষাকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল ২৫ সেপ্টেম্বর।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, বর্ষা গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে মাহিরকে জানিয়েছিলেন যে জুবায়েদকে আর ভালো লাগছে না। এরপরই জুবায়েদকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়।
মাহির ও বর্ষা জুবায়েদকে হত্যার জন্য দু’টি সুইচ গিয়ার কিনে নেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, দুইজন দুই দিক থেকে আক্রমণ করে জুবায়েদকে হত্যা করার লক্ষ্য রাখেন। ২ নভেম্বরের পূর্বে টিউশনের আগ মুহূর্তে বর্ষাদের বাসার সিঁড়িতে মাহির জুবায়েদকে হত্যা করে। ঘটনার সময় তার সঙ্গে ছিল ফারদিন আহম্মেদ আয়লান নামে এক বন্ধু। বর্ষা জুবায়েদের লোকেশনসহ সার্বিক বিষয়ে মাহিরকে সহযোগিতা করে।
ঘটনার দিন রাতেই বর্ষাকে আটক করে পুলিশ। পরের দিন মাহির রহমান ও ফারদিন আহম্মেদ আয়লানকে আটক করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আটকরা প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত রোববার বিকেলে আরমানিটোলার নুরবক্স রোডের রৌশান ভিলার ৫ম তলায় জুবায়েদ বর্ষার বাসায় টিউশন পড়তে যান। গেট দিয়ে প্রবেশ করার পর সিঁড়িতে সুইচ গিয়ার দিয়ে জুবায়েদের গলার ডান পাশে আঘাত করা হয়। অতিমাত্রায় রক্তক্ষরণের কারণে জুবায়েদ ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এ ঘটনার তদন্ত চলছে, এবং পুলিশ ঘটনার সকল দিক খতিয়ে দেখছে।