চাল মজুত ও বাজার স্থিতিশীল রাখতে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে কেনা এ চাল আনতে ব্যয় হবে ২১৭ কোটি ৬৮ লাখ ৯৩ হাজার ১৭০ টাকা।
রোববার (৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির যৌথ বৈঠকে এ প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী ২০২৫–২৬ অর্থবছরে প্যাকেজ-০৩ এর আওতায় ভারতীয় প্রতিষ্ঠান মেসার্স গুরুদেব এক্সপোর্টস করপোরেশন প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এই চাল কেনা হবে। প্রতি টন চালের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫৬.৭৮ মার্কিন ডলার।
এর আগে গত ৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত আরেক বৈঠকে একই অর্থবছরের “প্যাকেজ-০১” এর আওতায় ভারতীয় প্রতিষ্ঠান বগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেড থেকে আরও ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল কেনার অনুমোদন দেয় সরকার। সে চাল আনতে ব্যয় ধরা হয় ২১৯ কোটি ৯ লাখ ৯৯ হাজার ৩০০ টাকা।
এছাড়া বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরকার-থেকে-সরকার (জিটুজি) পদ্ধতিতে ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানির প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়। ইউএস গম অ্যাসোসিয়েটস কর্তৃক মনোনীত প্রতিষ্ঠান অ্যাগ্রোক্রপ ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড থেকে গমটি আমদানি করা হবে। এ খাতে ব্যয় হবে ৮২৫ কোটি ৩১ লাখ ৬৮ হাজার টাকা, যা প্রতি টন ৩০৮ মার্কিন ডলার মূল্যে নির্ধারিত।
সরকারি সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশে খাদ্যশস্যের পর্যাপ্ত মজুত ও বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এই আমদানি কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে।