১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপনে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের প্রস্তুতি প্রায় শেষ। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে ঢাকা ও সারাদেশে সাজানো হয়েছে ব্যাপক কর্মসূচি।
সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে দিবসের আনুষ্ঠানিকতা। এরপর ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা সকাল ৬টা ৩৪ মিনিটে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। পরে বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বিদেশি কূটনীতিকরা শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সকাল ৯টায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লে, পতাকা উত্তোলন ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে। একই সঙ্গে তিন দিনব্যাপী বিজয়মেলা, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, মংলা ও পায়রা বন্দরে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জাহাজ জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এছাড়া সিনেমা হলে শিক্ষার্থীদের জন্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র বিনা টিকিটে প্রদর্শন করা হবে।
মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডায় শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও জাতির শান্তি কামনায় বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানী ও বিভাগীয় শহরগুলোকে সাজানো হবে জাতীয় পতাকা, ফেস্টুন ও আলোকসজ্জায়।