অমর একুশে বইমেলা ‘যথা সময়েই’ হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, ‘বইমেলা হবে না বলে যে কথা হচ্ছে, তা সঠিক নয়। বইমেলা অবশ্যই হবে। পরিস্থিতির কারণে সমন্বয়ের প্রয়োজন হতে পারে। আমার মনে হয় না এটা বিশেষ কোনো বিষয়। বাংলা একাডেমি প্রকাশকদের সঙ্গে আলোচনা করে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেবে, যা সবার জন্যই গ্রহণযোগ্য হবে। আমি মনে করি হতাশ হওয়ার কিছু নেই।’

রোববার (২৬ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘কেমন বই মেলা চাই’ শীর্ষক এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা এমন একটি বইমেলা চাই, যেখানে সকল শ্রেণির পাঠকের পছন্দের বই পাওয়া যাবে। আবার সকল লেখকের বইও পাওয়া যাবে। পাঠক তার ইচ্ছে মত প্রয়োজনীয় বইটি নেবেন। তাকে চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। পাঠক যদি তার পছন্দের বইটি বইমেলা থেকে নিতে পারেন তবেই সেই বইটি তার জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করবে।’

বিগত সরকারের সময়ে শেখ পরিবারের নামে বই প্রকাশ এবং ‘জোর করে’ বিক্রি করে কেউ কেউ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন প্রেস সচিব।

সভায় জাতীয় কবিতা পরিষদের আহ্বায়ক কবি মোহন রায়হান বলেন, ‘বই জ্ঞানের ভাণ্ডার। জ্ঞানই আমাদেরকে সভ্যতা শিখিয়েছে। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধের এমনকি জুলাই আন্দোলনও অঙ্গাঙ্গীভাবে একুশের বইমেলার সঙ্গে যুক্ত। আমাদের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং সাহিত্য সংস্কৃতির সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত বইমেলা। বইমেলা অনুষ্ঠিত না হাওয়া মানে জুলাইয়ের অর্জনকে ম্লান করার চেষ্টা। যারা বইমেলাকে বন্ধ করতে চায় তারা জুলাইয়ের আন্দোলন অর্জনকে বিতর্কিত করতে চায়। সুতরাং বইমেলা ফেব্রুয়ারিতেই হতে হবে।’

বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল গ্রন্থ প্রকাশক সমিতির সভাপতি সাঈদ বারীর সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে সাংবাদিক গাজীউল হাসান খান, লেখক ফয়েজ আলম, সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম কাদির, প্রকাশক গফুর হোসেন, কাজী জহিরুল ইসলাম বুলবুল, বেগম বদরুন্নেসা সরকারী কলেজের শিক্ষার্থী ফাতেমা আখতার, এআইইউবির শিক্ষার্থী দাহেকা আঞ্জুম সাদিয়া এবং আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হাসান বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে ১৭টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।