অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, “আমরা গত ১৫ মাস ধরে দায়িত্ব পালন করছি। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে, এরপর আমরা আরও দুই–তিন মাস আছি। জাতি মূল্যায়ন করবে আমরা কী করতে পেরেছি, আর কী করতে পারিনি।”
শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে দৈনিক নয়াদিগন্ত–এর বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
খালিদ হোসেন বলেন, “আমি একেবারে পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নভাবে দায়িত্ব পালন করেছি। কেউ কেউ বলছেন, উপদেষ্টারা সেফ এক্সিট চান। কিন্তু আমার কোনো সেফ এক্সিটের প্রয়োজন নেই। পরবর্তী সরকার যদি আমায় টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে আমন্ত্রণ জানায়, তবুও আমি যাব না।”
তিনি আরও বলেন, “আমি আমার মন্ত্রণালয় থেকে কোটি কোটি টাকা দেশের মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির, চার্চ, প্যাগোডা, শ্মশান সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বরাদ্দ দিয়েছি। এই টাকা সরকারের ফান্ড থেকে আসে। রাষ্ট্রটি একটি ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামোতে চলছে এটা আমাদের মেনে নিতে হবে।”
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, “শরিয়ত আমরা ব্যক্তিগতভাবে পালন করি। রাষ্ট্রীয়ভাবে আমার দায়িত্ব যতদিন থাকবে, আমি যাব মন্দিরে বা চার্চে। এটা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। দায়িত্ব শেষ হলে, তখন সেটা আর আমার কাজ নয়।”
সাম্প্রতিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভ্রান্তিকর পোস্ট নিয়ে তিনি বলেন, “ফেসবুকে কত কথা লেখা হয়। কেউ কেউ লিখেছে আমি মারা গেছি। সীমা থাকা উচিত মানুষ সত্যিই মনে করেছে আমি আর বেঁচে নেই।”
নিজেকে দুর্নীতিমুক্ত দাবি করে খালিদ হোসেন বলেন, “আমি এক টাকাও দুর্নীতি করিনি। হাজিদের সাড়ে আট কোটি টাকা ফেরত দিয়েছি। সৌদি আরবে থাকা এজেন্সির ৩৯ কোটি টাকা দেশে এনে বিতরণ করেছি। তবে ১৬–১৭ বছরের জঞ্জাল দেড় বছরে পরিষ্কার করা যায় না, আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছি।”
ইএফ/