শারদীয় দুর্গোৎসবের শেষ দিন বিজয়া দশমীতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত লাখো মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। দুপুর ২টায় লাবণী পয়েন্টে জেলা প্রশাসনের উন্মুক্ত মঞ্চে বিজয়া সম্মেলনের মাধ্যমে দেশের সর্ববৃহৎ প্রতিমা বিসর্জনের আয়োজন শুরু হয়।
জেলার ৭টি উপজেলা এবং পার্বত্য জেলা বান্দরবান থেকেও ট্রাকবোঝাই প্রতিমা আনা হয়েছে। চকরিয়া ও পেকুয়া মণ্ডপের প্রতিমা মাতামুহুরী নদীতে বিসর্জন দেওয়া হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নান জানান, তিন স্তরের নিরাপত্তা জোরদারের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সফল করতে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সমন্বিতভাবে কাজ করছে। সৈকতে পর্যটকের স্বাচ্ছন্দ্যের জন্যও বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
পরিবার নিয়ে সিরাজগঞ্জ থেকে আগত স্কুল শিক্ষক রাজেন্দ্র রায় বলেন, “কক্সবাজারের আয়োজন সারাদেশে সবচেয়ে বড়। মা-বাবাকে বিদায় দিতে এসেছি। প্রশাসনের তৎপরতা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।”
চারদিনের ছুটি ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে আগামী কয়েকদিনে কক্সবাজারে ৫ লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটতে পারে। হোটেল ব্যবসায়ী সমিতি জানায়, এখনো কোনো হোটেল খালি নেই।
বঙ্গোপসাগরের লঘুচাপের কারণে সৈকতে গোসল ঝুঁকিপূর্ণ। সি সেইফ লাইফ গার্ডের মাঠ কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, লাইফগার্ড সদস্যরা পর্যটকের নিরাপত্তার জন্য নিরলসভাবে কাজ করছে। পর্যটকদের সচেতন থাকা জরুরি।