বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ নেতৃত্বে সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরানোর তৃতীয় দিনের শুনানি শেষে শিশির মনির বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করলেই বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। যে প্রক্রিয়ায় এটি বাদ দেওয়া হয়েছে, তা সম্পূর্ণ পূর্বপরিকল্পিত নকশার ভিত্তিতে করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এই ফর্মুলায় তিনটি নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছিল। এরপর তা বাদ দেওয়া হলেও আজও গণতন্ত্রের জন্য এটি সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য। শিশির মনির বলেন, যদি নির্বাচন ব্যবস্থাকে সঠিকভাবে দাঁড় করাতে হয়, তাহলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ফর্মুলা ব্যবহার করা আবশ্যক। ইতিমধ্যেই ঐকমত্য কমিশন ও সংস্কার প্রক্রিয়ায় জুলাই সনদে নতুন বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে। আদালত যেই সিদ্ধান্তই দেন না কেন, তা অবশ্যই জুলাই সনদ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৯৬ সালে। এই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে হাইকোর্টে রিট করা হয়। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট রিট খারিজ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে বৈধ ঘোষণা করে। ২০০৫ সালে আপিল করা রিটের ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগ সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় দেয়। এরপর ২০১১ সালের ৩০ জুন পঞ্চদশ সংশোধনী আইন পাস হয়।

রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ২০১২ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন আদালতে আবেদন করেছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনসহ অনেকে রয়েছেন।