দেশের উন্নয়নধারাকে গতিশীল করতে গেলে কেবল অবকাঠামো নির্মাণই যথেষ্ট নয়; নিশ্চিত করতে হবে প্রকৃতি-সম্মত ও উদ্ভাবনী দৃষ্টিভঙ্গি। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য শহর ও নিরাপদ পরিবেশ গড়তে টেকসই ইঞ্জিনিয়ারিং অপরিহার্য—এমন মন্তব্য করেছেন পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর পানি ভবনে বাংলাদেশ পানি ও বিদ্যুৎ প্রকৌশলী সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান। উন্নয়নের যে পথ ধরে বাংলাদেশ এগোচ্ছে, তার দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন জরুরি বলে মনে করেন তিনি।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, “নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জীবন, উপকূল অঞ্চলের ঝুঁকি ও জীববৈচিত্র্যের লড়াই—সবকিছু মাথায় রেখে আমাদের উন্নয়ন পরিকল্পনা সাজাতে হবে। পরিবেশের ক্ষতি করে কোনো উন্নয়ন টেকসই হতে পারে না। তাই প্রকৌশলীদের প্রতিটি পরিকল্পনায় পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, দেশের অবকাঠামোতে নবায়নযোগ্য প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী পদ্ধতির সমন্বয় বাড়াতে হবে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার যে প্রচেষ্টা চলছে, তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগোতে প্রয়োজন সুদূরপ্রসারী চিন্তা ও পরিকল্পনা।

অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক এবং রেলপথবিষয়ক উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে শুরু করে সড়ক ও রেল অবকাঠামো—সবক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব সমাধান এখন সময়ের দাবি।

সমিতির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহজাহান সিরাজের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মহাসচিব শাহেদুল আজিম সজল। বক্তব্য রাখেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মো. এনায়েত উল্ল্যাহ ও প্রকৌশলী ওবায়েদ উল্ল্যাহসহ অন্যান্য অতিথিরা।

সেমিনারে বক্তারা অভিন্নভাবে বলেন, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা আরও শক্তিশালী করতে হলে প্রকৃতি, প্রযুক্তি এবং মানুষের স্বার্থকে একসূত্রে বেঁধেই উন্নয়ন পরিকল্পনা করতে হবে।