তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষ ভূমিকা চায় বিএনপি—এমন মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি জানান, নির্বাচনকালীন সরকারের নিরপেক্ষ আচরণ নিয়ে বিএনপি আশ্বাস চেয়েছে এবং সেই নিশ্চয়তা তাদের দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২২ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে আসিফ নজরুল বলেন,আমি বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় যেটা বুঝেছি, তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাননি। তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী সরকার যেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে। আমাদের কাছে তারা নিরপেক্ষ আচরণের নিশ্চয়তা চেয়েছে, যা আমরা দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা নিজেই জনপ্রশাসনের বদলি ও নিয়োগ পর্যবেক্ষণ করবেন, যাতে নিরপেক্ষতা বজায় থাকে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নে আসিফ নজরুল জানান, নির্বাচনকালীন সরকার ছোট হবে কি না, এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
তিনি বলেন,এই বিষয়ে কোনো পক্ষ থেকে দাবি আসেনি। উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা হলে বিষয়টি বিবেচনায় আসবে।

দলীয় কেউ যেন অন্তর্বর্তী সরকারে না থাকে—এ বিষয়ে বিএনপির দাবি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এটি বিএনপির আগের অবস্থান, তবে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এমন কোনো দাবি আসেনি।

একজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে জনপ্রশাসনে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ রয়েছে—এমন প্রশ্নে আসিফ নজরুল বলেন,আমি জনপ্রশাসনের দায়িত্বে নেই। এ বিষয়ে মন্তব্য করার অবস্থানে আমি নেই।

নির্বাচন ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে সংশয় রয়েছে—এমন প্রশ্নে আইন উপদেষ্টা বলেন,মাঠে-ঘাটে মানুষের মধ্যে আস্থার অভাব আছে কি না, আমি জানি না। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক অনৈক্য এবং একে অন্যের প্রতি অবিশ্বাসের কারণেই মানুষের মধ্যে দ্বিধা তৈরি হচ্ছে।

তিনি আরও যোগ করেন,যখন জুলাই সনদের বাস্তবায়নে বাস্তব অগ্রগতি দেখা যাবে, তখন সব সংশয় কেটে যাবে বলে আশা করি।

সব দলের অভিযোগ থাকা প্রসঙ্গে আসিফ নজরুল বলেন,একদল বলে ওদের লোক আছে, আরেক দল বলে অন্যদের লোক আছে—এর মানে হলো আমরা নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করছি।

নির্বাচনে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনার দায় কার—এ প্রশ্নে তিনি বলেন,সরকার তো চেষ্টা করছে। আমরা দায়িত্বশীলভাবে আগাচ্ছি।