জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) পর্যায়ের পরীক্ষা পদ্ধতিতে বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এখন থেকে প্রতি কোর্সে মোট নম্বরের ৮০ শতাংশ থাকবে ফাইনাল পরীক্ষায়, আর বাকি ২০ শতাংশ নম্বর নির্ধারিত হবে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে।
রোববার (১০ নভেম্বর) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন এই পদ্ধতি কার্যকর হবে। এতে বলা হয়েছে, তত্ত্বীয় কোর্সের প্রশ্নের ধরন, সময়সীমা ও নম্বরবণ্টনেও পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নতুন কাঠামো অনুযায়ী, ৪ ক্রেডিট কোর্সে মোট ১২টি প্রশ্নের মধ্যে শিক্ষার্থীদের উত্তর দিতে হবে ৮টি প্রশ্নের, যার পূর্ণমান ৮০ এবং সময়সীমা ৪ ঘণ্টা। ৩ ক্রেডিট কোর্সে ৯টির মধ্যে ৬টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, মোট ৬০ নম্বর, সময় ৩ ঘণ্টা। আর ২ ক্রেডিট কোর্সে ৬টি প্রশ্নের মধ্যে ৪টির উত্তর দিতে হবে, নম্বর ৪০ ও সময় ২ ঘণ্টা। প্রয়োজনে প্রতিটি প্রশ্নে সর্বোচ্চ তিনটি উপ-প্রশ্ন (ক, খ, গ বা a, b, c) থাকতে পারবে।
প্রজ্ঞাপনে ধারাবাহিক মূল্যায়নের কাঠামোও বিস্তারিতভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। ৪ ক্রেডিট কোর্সে অ্যাসাইনমেন্ট ও কুইজে ৫ নম্বর, ক্লাস উপস্থিতিতে ৫ নম্বর এবং দুটি ইন-কোর্স পরীক্ষার গড় হিসেবে ১০ নম্বর রাখা হবে মোট ২০ নম্বর। ৩ ক্রেডিট কোর্সে মোট ১৫ নম্বর এবং ২ ক্রেডিট কোর্সে ধারাবাহিক মূল্যায়নে ১০ নম্বর থাকবে।
এছাড়া ব্যবহারিক কোর্সের মূল্যায়ন সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সিলেবাস অনুযায়ী পরিচালিত হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
নতুন এই মূল্যায়ন কাঠামোর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত অধ্যয়ন ও শ্রেণিকক্ষ অংশগ্রহণ আরও উৎসাহিত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।