রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে সরকারি প্লট বরাদ্দে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আরও ১২ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
রোববার (৯ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলমের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তিনটি পৃথক মামলায় মোট ১২ জন সাক্ষ্য দেন বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম।
সাক্ষ্য দেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহ ও হাসিবুজ্জামান, সোনালী ব্যাংকের সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মনির হোসেন, রাজউকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক লায়লা নূর বিশ্বাস, গৃহায়ণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম খানসহ আরও কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা।
দুদক প্রসিকিউটর জানান, শেখ রেহানার মামলায় ৮ জন, টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিকের মামলায় ৭ জন এবং শেখ রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের মামলায় ৭ জন করে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এসব সাক্ষ্য একত্রে ২২ জনের বয়ান আদালতে রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিন একমাত্র হাজির আসামি, রাজউকের সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলমকে আদালতে উপস্থিত করা হয়। তাঁর পক্ষ থেকে জামিন আবেদন করা হলেও আদালত তা নামঞ্জুর করেন।
আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য তিনটি পৃথক দিন নির্ধারণ করেছেন রেহানার মামলায় ১৬ নভেম্বর, টিউলিপের মামলায় ২৩ নভেম্বর এবং রাদওয়ানের মামলায় ২৫ নভেম্বর। এদিন বাদীদের জেরা করবেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
প্রসঙ্গত, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে অবৈধভাবে প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে গত জানুয়ারিতে শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানা, ভাগনি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিকসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মোট ছয়টি মামলা দায়ের করে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সরকারপ্রধানের পদে থেকে তাঁরা রাজউকের ২৭ নম্বর সেক্টরে ১০ কাঠা করে প্লট বরাদ্দ নিয়েছিলেন, যা নিয়মবহির্ভূত এবং যোগ্যতার মানদণ্ডের বাইরে।