রাজধানীর বিশেষ জজ আদালত-৫-এ বুধবার (২৯ অক্টোবর) আত্মসমর্পণ করেছেন রাজউকের সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, যিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে সরকারি প্লট বরাদ্দের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা তিনটি পৃথক মামলার আসামি ছিলেন।

আত্মসমর্পণের পর খুরশীদ আলম জামিনের আবেদন করেন। তার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহিনুর ইসলাম, তবে দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ জামিনের বিরোধিতা করেন। আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে খুরশীদকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এই তিন মামলায় ইতিমধ্যেই তিনজন সাক্ষী আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দিচ্ছেন। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, এক মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১২ জন, আরেকটিতে সজীব ওয়াজেদ জয় ও শেখ হাসিনাসহ ১৭ জন, এবং অপর মামলায় সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও শেখ হাসিনাসহ ১৮ জন আসামি করা হয়েছে।

এর আগে, ৩১ জুলাই ২০২৫-এ বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন তিন মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। বাকি তিন মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক মো. রবিউল আলম অভিযোগ গঠন করেন।

প্লট বরাদ্দের দুর্নীতির অভিযোগে জানুয়ারিতে পৃথকভাবে ৬ মামলা দায়ের করে দুদক। এসব মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও আরেক মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকসহ আরও অনেকে আসামি হয়েছেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালীন শেখ হাসিনা ও পরিবারের সদস্যরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরে প্রতি জনকে ১০ কাঠা করে সরকারি প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন, যা দুর্নীতির অভিযোগে ধারা গঠন করেছে।

আদালতে আত্মসমর্পণের মাধ্যমে খুরশীদ আলমকে আইনের আওতায় আনা হলেও, মামলার কার্যক্রম চলমান এবং অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার ও তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।