রোববার রাতে তুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলীয় মুগলা প্রদেশের উপকূলে একটি রাবারের নৌকা ডুকে অন্তত ১৪ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় গভর্নরের কার্যালয়ের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, নৌকায় মোট ১৮ জন ছিলেন উদ্ধারকারী দলের হাতে ১৪ মরদেহ উঠে এসেছে এবং দুইজন নিখোঁজ। একজন জীবিত অভিবাসনপ্রত্যাশী সাঁতরে মূলস্থলে ফিরে এসে ঘটনার খবর দেয়।

উদ্ধারকর্মীরা জানান, যাত্রা শুরু হবার পরই নৌকায় পানি এসে ভর্তি হতে থাকে এবং দ্রুত নৌকাটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। কোস্টগার্ড ও স্থানীয় জরুরি টিম কারণ অনুসন্ধান ও নিখোঁজদের সন্ধানে রাতভর তল্লাশি চালিয়েছে; কাজেই চারটি কোস্টগার্ড নৌকা, একটি ডাইভিং দল ও একটি হেলিকপ্টার তল্লাশিতে নিয়োজিত আছে। ত্রাণকর্মীরা বাড়তি মানুষের থাকার ও চিকিৎসার বন্দোবস্ত করেছেন। নিহতদের পরিচয় নিরুপণের চেষ্টা চলছে।

এজিয়ান সাগরটি উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইউরোপ যাওয়ার প্রধান ঝুঁকিপূর্ণ রুট। তুরস্কের উপকূল থেকেও অনেকে গ্রিসের কাছাকাছি দ্বীপে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন। কোস ও অন্যান্য ছোট দ্বীপগুলো বিশেষত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় তাতে পৌঁছাতে গিয়ে অনলাইনে বা বর্ডার‑পার পলিসি ও মানবপাচারকারীদের জালে পড়ে বিপজ্জনক যাত্রা বহুবার প্রাণহানিতে পরিণত হয়েছে।

গত সপ্তাহে তুর্কি কর্তৃপক্ষ অভিবাসী পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সমকালীন অভিযানে দেশজুড়ে ১৬৯ জনকে আটক করলেও, আতঙ্কিত মানুষদের অবৈধ যাত্রা থামছে না। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার এবং কোস্টগার্ড সূত্রে বলা হচ্ছে সমন্বিত আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ ও নিরাপদ অভিবাসন পথ না দিলে এ ধরনের দূর্ঘটনা চলতেই থাকবে। স্থানীয় প্রশাসন পরিবারগুলোর প্রতি শোক প্রকাশ করেছে এবং নিখোঁজদের দ্রুত উদ্ধারের অনুরোধ জানিয়েছে।

ইএফ/