ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় খাদ্য, ওষুধ ও মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে যাওয়া আন্তর্জাতিক নৌবহর সুমুদ ফ্লোটিলা-তে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি নৌবাহিনী। আন্তর্জাতিক জলসীমায় সংঘটিত এ ঘটনায় জাহাজগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল করে দেওয়া হয় এবং জলকামান ব্যবহার করে আক্রমণ চালানো হয়। প্রায় দুই শতাধিক কর্মী ও মানবাধিকারকর্মীকে আটক করেছে ইসরায়েল।
ফ্লোটিলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বহরে অন্তত ৪০টি জাহাজ অংশ নিয়েছিল। আটক হওয়া ১৩টি জাহাজে বিভিন্ন দেশের শতাধিক নাগরিক ছিলেন। এর মধ্যে ১২ জন মালয়েশীয় ও বেশ কয়েকজন তুর্কি নাগরিক রয়েছেন।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বলেছেন, নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের বাধা দিয়ে ইসরায়েল মানবতার প্রতি চরম অবজ্ঞা করেছে। তুরস্কও এক বিবৃতিতে এ ঘটনাকে “ফ্যাসিবাদী ও সামরিকতাবাদী নীতির প্রকাশ” বলে অভিহিত করেছে।
আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ার্সে বিক্ষোভে আন্দোলনকারীরা আটক কর্মীদের মুক্তির দাবি তুলেছেন। জানা গেছে, আটক হওয়া জাহাজগুলোর একটিতে আছেন দেশটির সংসদ সদস্য সেলেস্ট ফিয়েরো।
আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস বলেন, এটি শান্তিপূর্ণ মানবিক মিশনের ওপর আঘাত। অন্যদিকে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো ইসরায়েলের কূটনীতিকদের বহিষ্কার ও মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন।
এদিকে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য এমা ফুরো আহ্বান জানিয়েছেন, বিশ্বব্যাপী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলতে হবে।
ইসরায়েলি হামলার পরও ফ্লোটিলা কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছে—গাজায় খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী পৌঁছানো পর্যন্ত তাদের মিশন চলবে।