জাতিসংঘের পরমাণু তদারকি সংস্থা আইএইএ-এর সঙ্গে সহযোগিতা চুক্তি স্থগিত করেছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ আব্বাস আরাগচি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “জাতীয় স্বার্থ ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপস করা যাবে না। জাতিসংঘ যদি গঠনমূলক প্রস্তাব দেয়, আমরা আবারও আলোচনায় ফিরতে পারি।”
১৯৬৮ সালে স্বাক্ষরিত ‘নন-প্রোলিফারেশন অ্যাক্ট’ অনুসারে ইরান প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে তারা কখনো পরমাণু অস্ত্র তৈরি করবে না। কিন্তু সাম্প্রতিক সংঘাতের পর সম্পর্ক তিক্ত হয়ে পড়ে।
গত জুনে আইএইএ জানায়, ইরানের হাতে প্রায় ৪০০ কেজি ইউরেনিয়াম মজুত রয়েছে, যা ৬০ শতাংশ বিশুদ্ধ। এই ঘোষণা দেয়ার পরপরই ইসরায়েল ‘দ্য রাইজিং লায়ন’ অভিযানে বিমান হামলা চালায় ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোয়।
সংঘাতে ইরানের বহু বিজ্ঞানী ও সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন।
এ ঘটনায় ইরান পশ্চিমা দেশগুলোর ওপর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং আইএইএ-এর তদারকি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে। আরাগচির ভাষায়, “ইউরোপের সঙ্গে আলোচনার আর কোনো ভিত্তি নেই।”
জাতিসংঘের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি স্থগিত করল ইরান
ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের সংঘাতের পর পরমাণু তদারকি সংস্থা আইএইএ-এর সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত করেছে ইরান। তেহরান জানিয়েছে, জাতীয় স্বার্থ রক্ষার শর্তে চুক্তিতে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে।
