ইসরায়েলের দীর্ঘ ১ বছরের আগ্রাসনে গাজার জনপদ এখন ধ্বংসস্তূপ। পুনর্গঠনে লাগবে ৫২ বিলিয়ন ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় ৬ লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
দখলদার ইসরায়েলের লাগাতার বোমাবর্ষণে গাজার প্রায় সব অবকাঠামো মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। জাতিসংঘের প্রজেক্ট সার্ভিস অফিসের পরিচালক জোর্গে মোরেইরা দা সিলভা জানিয়েছেন, গাজার প্রায় ৮০ শতাংশ এলাকা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত, আর পুনর্গঠনে লাগবে বিপুল অর্থ।
আলজাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “যুদ্ধ শেষে প্রথম কাজ হবে ধ্বংসস্তূপ সরানো। তারপর শুরু হবে পুনর্গঠন।”
অন্যদিকে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির সম্ভাবনা নিয়েও আশার খবর মিলেছে। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান জানিয়েছেন, বন্দি বিনিময় ও মানবিক সহায়তা ইস্যুতে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে অগ্রগতি হয়েছে। সব পক্ষ সম্মত হলে আজই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হতে পারে।
এ আলোচনায় যুক্ত আছে মিসর, কাতার এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরাও। মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল-ফাত্তাহ এল-সিসি কায়রোতে বলেন, “শার্ম এল-শেইখের বৈঠক থেকে পাওয়া বার্তাগুলো আশাব্যঞ্জক।”
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এ যুদ্ধে নিহত হয়েছে ৬৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত দুই লাখেরও বেশি। ধ্বংস হয়েছে স্কুল, হাসপাতাল ও মসজিদসহ অধিকাংশ স্থাপনা।