ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ঘিরে আবারও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে জাতিসংঘ। শনিবার ইউরোপীয় সময় রাত ৮টার দিকে নিরাপত্তা পরিষদের পূর্ববর্তী প্রস্তাবের ভিত্তিতে অস্ত্রসহ সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করা হয়। ইউরোপীয় দেশগুলোর উদ্যোগে গৃহীত এ সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিক্রিয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তেহরান।

ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির অভিযোগ—ইরান ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি ভঙ্গ করেছে। ওই চুক্তির মূল উদ্দেশ্য ছিল তেহরানকে পারমাণবিক বোমা তৈরির সক্ষমতা অর্জন থেকে বিরত রাখা। তবে তেহরান বরাবরের মতো এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। বিশ্লেষকদের মতে, চুক্তি ভেঙে যাওয়া মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়াতে পারে।

এ প্রসঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি প্রধান কায়া কালাস বলেছেন, জাতিসংঘ ও ইইউর পূর্বে প্রত্যাহার করা সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে ফের কার্যকর করা হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইরানের পারমাণবিক সংকটের স্থায়ী সমাধান সম্ভব কেবল আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমে।

অন্যদিকে, ইরান সতর্ক করে বলেছে—নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করা হলে তারা এর কড়া প্রতিক্রিয়া জানাবে। এরই মধ্যে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানিতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে তেহরান। তবে প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান স্পষ্ট করে বলেছেন, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (এনপিটি) থেকে সরে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা করছে না।

রাশিয়া এই নিষেধাজ্ঞাকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে বলেছে, এটি কার্যকর করা সম্ভব নয়। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ জাতিসংঘ মহাসচিবকে লেখা এক চিঠিতে সতর্ক করে বলেন, নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালকে স্বীকৃতি দেওয়া হলে তা হবে ‘‘বড় ভুল’’।

তবে ইউরোপীয় দেশগুলো জানিয়েছে, আলোচনার দরজা এখনো খোলা। যৌথ বিবৃতিতে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বলেন, নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল মানেই কূটনীতির অবসান নয়। তারা ইরানকে আবারও আলোচনায় ফেরার আহ্বান জানান।