রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষ সম্মেলন হবে কি না, তা এখন নির্ভর করছে ওয়াশিংটনের সিদ্ধান্তের ওপর। এমন মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।
রোববার (২৬ অক্টোবর) হাঙ্গেরির ইউটিউব চ্যানেল আল্ট্রাহাং-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বুদাপেস্টে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। পুতিনও এতে সম্মতি জানিয়ে প্রস্তুতির নির্দেশ দেন। তবে যুক্তরাষ্ট্র এখনো সময় বা স্থান চূড়ান্ত করেনি।
ল্যাভরভ বলেন, “আমরা ভদ্র মানুষ। কেউ আমন্ত্রণ জানালে আমরা বলি কোথায়, কবে, কিভাবে, তা ঠিক করি। কিন্তু পরে সেই আমন্ত্রণ বাতিল করা হয়। হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, ‘বাতিল’ মানে আসলে ‘স্থগিত’। তাই সিদ্ধান্ত তাদেরই।”
তিনি আরও জানান, সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে ফোনালাপে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। ল্যাভরভ বলেন, “এই কলটি এসেছিল যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকেই, এবং আলাপ এতটাই ভালো ছিল যে নতুন কোনো বৈঠকের প্রয়োজন মনে করা হয়নি।”
রাশিয়া এখনও সংলাপের পক্ষে এমন মন্তব্য করে ল্যাভরভ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের স্বাচ্ছন্দ্য অনুযায়ী আলোচনায় বসতে তারা প্রস্তুত। ইউক্রেন ইস্যুতে তিনি বলেন, “আমাদের একটি বাফার জোন দরকার। ইউক্রেন এখনো রুশ ভূখণ্ডে হামলা চালাচ্ছে ব্রিয়ানস্ক, বেলগোরদ ও কুরস্কের মতো অঞ্চলেও।”
রাশিয়ার অবস্থান অপরিবর্তিত জানিয়ে ল্যাভরভ বলেন, কিয়েভকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে, ন্যাটোয় যোগ না দেওয়া, পারমাণবিক অস্ত্র না রাখা এবং রুশভাষীদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
এ ছাড়া ইউরোপীয় দেশগুলোর ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। তার দাবি, “ইউরোপীয় দেশগুলো নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির পক্ষে চাপ দিচ্ছে, যা যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া সংলাপের পথে বাধা।”
ফিনল্যান্ডের ন্যাটো সদস্যপদ নিয়েও তিনি বলেন, “এটি ভুল পদক্ষেপ; এতে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নষ্ট হচ্ছে।”
ইএফ/