ইরানের জ্বালানি রপ্তানি নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে বড় ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) ওয়াশিংটনের অর্থ বিভাগীয় সংস্থা অফিস অব ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোল (ওএফএসি) ঘোষণা দেয়, ইরানের তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) রপ্তানিতে সহায়তার অভিযোগে ৫০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি ও জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

ওএফএসি জানায়, নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য হলো ইরানের আর্থিক প্রবাহ বন্ধ করা এবং সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর অর্থায়ন রোধ করা। সংস্থাটি দাবি করেছে, এই চক্রের সহায়তায় ইরান বিলিয়ন ডলার আয় করছে, যার একটি অংশ বাংলাদেশের বাজারেও পৌঁছেছে।

মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট বলেন, “এই নিষেধাজ্ঞা ইরানের জ্বালানি রপ্তানি কার্যক্রম দুর্বল করতে সহায়ক হবে। এটি আমাদের সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগের নীতির অংশ।”

তালিকায় রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক দুটি প্রতিষ্ঠান—স্লোগাল এনার্জি ডিএমসিসি ও মারকান হোয়াইট ট্রেডিং ক্রুড অয়েল অ্যাবরোড এলএলসি। এই প্রতিষ্ঠানগুলো দক্ষিণ এশিয়ায়, বিশেষ করে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায়, ইরানি এলপিজি পাঠিয়েছে বলে অভিযোগ।

২০২৫ সালের শুরুতে পানামার পতাকাবাহী ‘গ্যাস ডিওর’ নামের জাহাজটি ১৭ হাজার টনেরও বেশি ইরানি গ্যাস বাংলাদেশে সরবরাহ করেছিল। একইভাবে, কোমোরোসের পতাকাবাহী ‘আদা’ (পূর্ব নাম ‘ক্যাপ্টেন নিকোলাস’) ২০২৪ সালের শেষ দিকে এলপিজি সরবরাহ করে।

উল্লেখ্য, ‘ক্যাপ্টেন নিকোলাস’ নামের ওই জাহাজে গত বছরের অক্টোবরে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে ভয়াবহ আগুন লাগে। কয়েক মাস আটকে থাকার পর চলতি সেপ্টেম্বর মাসে পুনরায় গ্যাস খালাসের অনুমতি পায়।

যদিও নিষেধাজ্ঞায় কোনো বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের নাম নেই, তবে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে—বাংলাদেশগামী চালানগুলো নজরদারিতে থাকবে। নিষিদ্ধ লেনদেনে যুক্ত কোনো কোম্পানি ভবিষ্যতে “দ্বিতীয় পর্যায়ের নিষেধাজ্ঞা”-র মুখে পড়তে পারে।