সাম্প্রতিক এক নির্বাচনী সমাবেশে ট্রাম্প ঘোষণা দেন, “চীন আমাদের অর্থনীতি ধ্বংস করছে। আমি ক্ষমতায় ফিরলে তাদের এক ডলার মুনাফাও সহজে তুলতে দেব না।” তিনি বলেন, আমেরিকার শিল্পখাতকে রক্ষা করতে হলে কঠোর শুল্কনীতি প্রয়োজন।
ট্রাম্পের এই মন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ও বৈদেশিক নীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে বিশ্লেষকদের মত। তারা বলছেন, ২০১৮ সালে ট্রাম্প প্রশাসনের সময় শুরু হওয়া ‘ট্যারিফ ওয়ার’-এর পুনরাবৃত্তি হলে বৈশ্বিক বাজারে অস্থিরতা তৈরি হবে।
অন্যদিকে ডেমোক্র্যাট নেতারা ট্রাম্পের প্রস্তাবকে “অবাস্তব ও আত্মঘাতী” বলে সমালোচনা করেছেন। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দলের এক মুখপাত্র বলেন, “এই ধরনের অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করলে শেষ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হবে মার্কিন জনগণই।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্পের এই হুঁশিয়ারি মূলত নির্বাচনী কৌশল। ভোটারদের কাছে ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ ইমেজ ফিরিয়ে আনতে চাইছেন তিনি। তবে আবারও বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হলে বিশ্ব অর্থনীতির ওপর তা গভীর প্রভাব ফেলবে, বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উৎপাদনশীল দেশগুলো ক্ষতির মুখে পড়বে।
বর্তমানে ট্রাম্প রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় এগিয়ে আছেন এবং ২০২৫ সালের জানুয়ারির নির্বাচনে জয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।