শক্তিশালী টাইফুন ‘কালমায়েগি’র তাণ্ডবের রেশ কাটতে না কাটতেই আরেকটি টাইফুন ধেয়ে আসছে ফিলিপাইনের দিকে। গত সপ্তাহে কালমায়েগির আঘাতে দেশটিতে ২০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ধ্বংস হয়েছে হাজারো ঘরবাড়ি, রাস্তা ও গাছপালা। এর মধ্যেই নতুন ঘূর্ণিঝড় ‘ফুং-অং’ উপকূলের দিকে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে।

আলজাজিরা জানিয়েছে, কালমায়েগির আঘাতের পর যে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছিল, সেটি শনিবার (৮ নভেম্বর) থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন উদ্ধারকাজের পরিবর্তে হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে।

আবহাওয়াবিদরা আশঙ্কা করছেন, উপকূলে পৌঁছানোর আগে ‘ফুং-অং’ সুপার টাইফুনে পরিণত হতে পারে। ফিলিপাইনের এক আবহাওয়াবিদ বলেন, “নতুন টাইফুনটি এতটাই বিশাল আকারের যে এটি পুরো দেশটিকেই ঢেকে ফেলতে পারে।”

এ অবস্থায় উপকূলীয় ও নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। তাদের জন্য ইতোমধ্যে জরুরি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

গত সপ্তাহের টাইফুন কালমায়েগি সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে সিবু প্রদেশে। সেখানে নিহতদের মরদেহ সারি সারি কফিনে রাখা হয় এবং শেষ বিদায় জানাতে আসেন তাদের শোকার্ত স্বজনেরা।

এখনও পর্যন্ত প্রায় ১০০ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। ঝড় আঘাত হানার কয়েকদিন পেরিয়ে গেলেও তাদের খোঁজ মেলেনি।

এ ছাড়া ঝড়ে প্রায় ৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। কেউ সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন, কেউবা আত্মীয়দের বাড়িতে উঠেছেন।

ফিলিপাইন সরকার নতুন টাইফুনের আগমনের প্রেক্ষিতে সব জেলাকে সতর্ক অবস্থায় রেখেছে এবং উপকূলীয় অঞ্চলে জেলেদের গভীর সমুদ্রে না যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।