‘অকাস’ নামের এই ত্রিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় অস্ট্রেলিয়া যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে উন্নতমানের পারমাণবিক সাবমেরিন প্রযুক্তি পাবে। এর লক্ষ্য চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক প্রভাব মোকাবিলা করে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শক্তির ভারসাম্য রক্ষা করা।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন বলেন, “এটি কেবল প্রযুক্তি হস্তান্তর নয়, বরং আমাদের সম্মিলিত নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি।”
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বলেন, “আমরা শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে। এই অংশীদারিত্ব আমাদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বহুগুণ বাড়াবে।”

অন্যদিকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র এই উদ্যোগের মাধ্যমে ‘আঞ্চলিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা উসকে দিচ্ছে’। বেইজিং আশঙ্কা করছে, এতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়বে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই চুক্তি ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহযোগিতা আরও সুসংহত করবে। তবে পরিবেশবাদীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, পরমাণু চালিত জাহাজের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ভবিষ্যতে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।