যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধের অবসান ও সকল ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তি নিশ্চিত করতে ২০ পয়েন্টের একটি নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পেশ করেছেন। তবে আন্তর্জাতিক মহলে এই পরিকল্পনা নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এখনো উত্তরহীন আছে।

১. কীভাবে শাসিত হবে গাজা:
ট্রাম্পের পরিকল্পনায় যুদ্ধের পর গাজার প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি অরাজনৈতিক ও প্রযুক্তিভিত্তিক কমিটি গঠন করার কথা বলা হয়েছে। নির্বাচিত সরকার আসার আগে এই কমিটিই সব বিষয়ে তত্ত্বাবধান করবে। ট্রাম্প নিজের নাম অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান হিসেবে এবং যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার কে সহযোগী হিসেবে প্রস্তাব করেছেন।

২. ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অংশগ্রহণ:
গাজার প্রশাসনের জন্য ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে ক্ষমতা হস্তান্তর করার শর্ত উল্লেখ আছে, তবে শর্ত হলো— তাদের অভ্যন্তরীণ সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে এবং প্রশাসন কার্যকরভাবে পরিচালনার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। কিন্তু কত দিনের মধ্যে এটি সম্পন্ন হবে, তার কোনো সময়সীমা নেই।

৩. গাজা কি বিচ্ছিন্ন হবে:
জাতিসংঘের দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান অনুযায়ী গাজা পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমসহ স্বাধীন ফিলিস্তিনের অংশ। কিন্তু ট্রাম্পের প্রস্তাবে গাজাকে স্বতন্ত্র ভূখণ্ড হিসেবে দেখার ইঙ্গিত রয়েছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু স্পষ্ট করে বলেছেন, হামাস বা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে গাজা শাসিত হবে না।

৪. নিরাপত্তা ও সেনা:
ট্রাম্পের পরিকল্পনায় গাজার নিরাপত্তার জন্য একটি অস্থায়ী বাহিনী গঠনের কথা বলা হয়েছে। তবে কোন দেশ সেনা পাঠাবে বা কিভাবে বাহিনী গঠন হবে, তা স্পষ্ট নয়।

৫. সেনা প্রত্যাহার ও রাষ্ট্র গঠন:
গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহারের সময় নির্ধারণে স্পষ্ট সময়সীমা নেই। ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে প্রস্তাবে বলা হলেও তা অস্পষ্ট এবং ধোঁয়াশাপূর্ণ। ট্রাম্প উল্লেখ করেছেন, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সংস্কার কার্যক্রম ও গাজার পুনর্গঠন নির্ভরযোগ্য হলে তখন ফিলিস্তিনিদের স্বাধিকার ও রাষ্ট্রগঠন প্রাসঙ্গিক হবে।