নিউইয়র্ক সিটি নির্বাচনে অভিবাসী মুসলিম রাজনীতিক জোহরান মামদানির বিজয়ের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তিনি মন্তব্য করেছেন, মামদানির জয়ে নিউইয়র্কের ওপর যুক্তরাষ্ট্র তার ‘সার্বভৌমত্ব হারিয়েছে’ এবং শহরটি এখন ‘কমিউনিস্ট শহরে’ পরিণত হবে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) টিআরটি ওয়ার্ল্ডের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
মামদানির নিরঙ্কুশ বিজয়ের একদিন পর মিয়ামিতে দেওয়া বক্তৃতায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “আমরা বিষয়টা দেখব।” তবে কীভাবে নিউইয়র্ক তার সার্বভৌমত্ব হারিয়েছে, সে বিষয়ে তিনি কোনো ব্যাখ্যা দেননি। তিনি দাবি করেন, “ফ্লোরিডা খুব শিগগিরই নিউইয়র্কের কমিউনিজম থেকে পালিয়ে আসা মানুষের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠবে।”
ট্রাম্প আমেরিকানদের সামনে একটি সিদ্ধান্তের ক্ষেত্র তৈরি করে বলেন, “আমরা কমিউনিজম বেছে নেব, না কমনসেন্স? আমরা অর্থনৈতিক দুঃস্বপ্ন নয়, বরং অর্থনৈতিক অলৌকিকতা চাই।”
তবে ট্রাম্প এও ইঙ্গিত দেন যে তিনি নিউইয়র্কের সাফল্য চান এবং মামদানিকে হয়তো যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে সামান্য সহায়তা দেওয়া হতে পারে। ট্রাম্পের ভাষায়, “আমরা ওকে একটু সাহায্য করব, হয়তো সামান্য।”
ব্যবসায়ী মহল, রক্ষণশীল গণমাধ্যম ও ট্রাম্পের কঠোর সমালোচনা সত্ত্বেও কার্যত ‘আউটসাইডার’ হিসেবে মেয়র নির্বাচিত হয়ে চমক দেখিয়েছেন জোহরান মামদানি। তিনি মজার ছলে বলেন, “হোয়াইট হাউস থেকে এখনও আমাকে অভিনন্দন জানানো হয়নি।”
মামদানি জানান, তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে জীবনযাত্রার ব্যয় ইস্যুতে আলোচনা করতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, “কীভাবে আমরা একসঙ্গে নিউইয়র্কবাসীর সেবা করতে পারি সে বিষয়ে আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী। তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণে, বিশেষ করে জীবনযাত্রার ব্যয় কমাতে কাজ করার সুযোগ আছে।”
মামদানি উল্লেখ করেন, ট্রাম্পের মতো তিনিও জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয়, মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব এবং বাজারদর বৃদ্ধিকে নিজের প্রচারণার কেন্দ্রে রেখেছিলেন। তিনি বলেন, “প্রেসিডেন্টের জন্য এখান থেকে শেখার বিষয় হলো— শুধু শ্রমজীবী মানুষের সংকট চিহ্নিত করলেই হবে না, সেই সংকট মোকাবিলায় বাস্তব পদক্ষেপও নিতে হবে।”
ইএফ/